জামালগঞ্জ প্রতিনিধি

১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৬:৩০

জামালগঞ্জে নদীতে নাব্যতা সঙ্কট: ১৭ দিন ধরে আটকা ৪ শতাধিক নৌযান

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বৌলাই ও আবুয়া নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে সৃষ্টি হয়েছে নৌজট। এ কারণে প্রায় চার শতাধিক বালু ও পাথরবোঝাই নৌকা ১৭ দিন ধরে আটকা পড়ে আছে।

ফলে বালু ও পাথর ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া এসব নৌযানের প্রায় দুই হাজার শ্রমিকও দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের বৌলাই ও আবুয়া নদীর হিজলা, মাহমুদপুর, পৈণ্ডুপ, মদনাকান্দি, দুর্গাপুর, হাওরিয়া আলীপুর, বদরপুর ও বেহেলীসহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাল্কহেড, স্টিলবডি, বারকি, যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযান আটকা পড়ে চরম দুভোর্গ পোহাচ্ছেন।

ফলে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার আংশিক এলাকায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে বৌলাই নদী ও আবুয়া নদীতে বছরের এ সময় নাব্য সংকট দেখা দেয়। গুরুত্বপূর্ণ এ নদী দিয়ে ফাজিলপুর বালুপাথর মহাল থেকে বালু, পাথর উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়।

বলগেট পরশী নৌরিন নামক নৌকার চান মিয়া বলেন, ১২ দিন ধরে বসে আছি, নৌকা চলে না। যদি সারিবদ্ধভাবে একটা একটা করে নৌকা চলত, তবে এ সমস্যা হতো না। চার শতাধিক নৌকার সব শ্রমিক বসে বসে অর্থ ব্যয় করছেন।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর নৌপরিবহন সমিতির সদস্য মো. আবদুল হান্নান বলেন, বাজিতপুর থেকে এখানে শতাধিক বাল্কহেড নৌকা বালু কিনতে এসেছিল। সেগুলোর বেশিরভাগই ২০ দিন ধরে নদীতে আটকা পড়ে আছে। ফলে ঠিকাদারদের বালু সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তাদের নির্মাণকাজও বন্ধ রয়েছে।

লালপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনিসুর রহমান বলেন, নাব্য সংকট দেখা দেয়ার কারণে নদী সরু হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নৌপুলিশ নৌজট নিরসনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।

জামালগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নিহারঞ্জন দাস বলেন, বৌলাই নদী খননের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এবার নাব্যতা সংকটের কারণে ড্রেজার নদীতে আনা যাচ্ছে না। তাই আগামীতে নদী খনন করে সমস্যার সমাধান করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত