গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি

১৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৫৯

প্রেমিকাকে ‘অনশনে’ রেখে অন্য মেয়েকে নিয়ে পালালেন পুলিশ কনস্টেবল

সিলেটের গোয়াইনঘাটে বিয়ের দাবিতে পুলিশের এক কনস্টেবলের বাড়িতে পাঁচ দিন ধরে অনশন করছেন সাবিনা নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী। এদিকে, সাবিনাকে অনশনে রেখেই অন্য আরেক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন পুলিশ কনস্টেবল সুলেমান। গোপনে তারা বিয়েও করেছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ের নয়াগাঙেরপাড় গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে ও জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাবিনার সাথে একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য সোলেমানের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। তবে সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী গ্রামের আরেক মেয়ের সাথে সোলেমানের বিয়ে ঠিক করেন তাঁর বাবা মা। গত ৯ জানুয়ারি ওই মেয়ে ও সুলেমানের গায়ে হলুদ সম্পন্ন হয়।

এদিকে, বিয়ের খবর পেয়ে গায়ে হলুদের রাতেই প্রেমিক সোলেমানের বাড়িতে হাজির হন সাবিনা। বিয়ের দাবিতে সোলেমানের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। সুলেমানের বাবা মা সাবিনাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। এ অবস্থায় পরিবারের চাপে ওই রাতেই সোলেমান তার পরিবারের পছন্দের পাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সোলেমান ওই মেয়েকে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে আত্মগোপনে রয়েছের বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

এদিকে প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে ও বিয়ের দাবি জানিয়ে ৫ দিন ধরে সুলেমানের বাড়িতে অনশনে রয়েছেন সাবিনা। সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রায় দুই বছর ধরে সোলেমানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সেই সুবাদে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সোলেমান তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করেছে।

সাবিনা বলেন, এখন সে আমাকে তার বাড়িতে আসতে বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সোলেমান বাড়িতে ফিরে এসে আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই বাড়িতে অবস্থান করবো।

এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল সোলেমানের সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে। সোলেমানের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা নেই বলে পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহালম মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনরত মেয়েটির সাথে কথা বলেছি। মেয়েটিকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত