নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৪৮

রোহিঙ্গা ইস্যু খুবই জটিল, বিশ্বনেতাদের ভূমিকা দরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ইস্যু খুবই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এই সঙ্কট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা উচিত বলে মন্তব্য তাঁর।

মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন ড. মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম সিলেট আসেন সিলেট-১ আসনের এই সাংসদ। সিলেট এসে তিনি হযরত শাহজাল (র.) শাহপরান (র.) মাজার জিয়ারত এবং শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

মাজার জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন এই পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে ইতোমধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। আরও আলোচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বেশিদিন জিইয়ে রাখলে এই অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি মায়ানমারও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্য প্রতিবেশিদেরও শান্তি বিঘ্নিত হবে।

তিনি বলেন,  মায়ানমার আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এছাড়া বিশ্বের যত নেতা আছেন, তাদেরও একটা দায়িত্ব আছে। এই সমস্যা সমাধানে তাদের বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে।

ভারত দিয়ে নিজের বিদেশ সফর শুরু প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেক উষ্ণ। এবারের নির্বাচনে বিজয়ের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীই প্রথম আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। আর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমাকে প্রথম আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁর আমন্ত্রণেই আমি ভারত সফরে যাচ্ছি। এবার মূলত সৌজন্য সফরে গেলেও দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিস্ট বিভিন্ন ইস্যুতেও আলোচনা হবে বলে জানান মোমেন।

বেলা দেড়টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে সিলেট পৌছেন জাতীসংঘের সাবেক এই স্থায়ী প্রতিনিধি। বিমান বন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

মাজার জিয়ারতকালে প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ ও হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর কথা স্মরণ করে মোমেন বলেন, সিলেটের এই দুই নেতা দীর্ঘদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের যে সুনাম রয়েছে এবং তাঁরা যেভাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন আমি তাঁদের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই। তাঁদের এই সুনাম আমি আমার কাজের মধ্য দিয়ে ধরে রাখতে চাই।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দিন আহমদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, রুপালি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমেদ আল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত