নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:২৫

প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে লাফার্জ হোলসিমের বক্তব্য

গত সোমবার সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ 'ছাতকে ফসলি জমি নষ্ট করছে লাফার্জ সিমেন্ট কারখানা' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন নিয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রদান করেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লি.।

প্রতিষ্ঠানটির এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ বক্তব্যটি হুবুহু প্রকাশ করা হলো-

লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিঃ এর সুরমা প্ল্যান্ট থেকে কোন বর্জ্য বাহিরে ফেলা হয় না। সুতরাং কোম্পানির বর্জ্যের কারনে ফসলি জমির ক্ষতি হবার অভিযোগ সত্য নয়।

অধিকিন্তু, পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে এমন বর্জ্য পদার্থ বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির নিকট থেকে সংগ্রহ করে সুরমা প্ল্যান্টে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ধ্বংস করা হয়। এরফলে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশের পরিবেশ। প্রতিবেদনটিতে মাটি কাটার মাধ্যমে ফসলি জমি নষ্টের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ঠিক নয়। মাটি সংগ্রহের জন্য লাফার্জ হোলসিম যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে চলে। মাটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে পতিত জমিগুলোকে বেছে নেয়া হয় এবং জমির মালিকদের এবং কৃষকদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়।

প্রাকৃতিক কারণে, এসকল পতিতজমি থেকে কয়েক ফুট মাটি অপসারন করলে তা বোরো চাষের উপযুক্ত হয়। ফলে ঐ এলাকার জমির মালিকরা নিজেদের উদ্যোগেই জমির মাটি কেটে বোরো চাষের উপযোগি করে তোলেন। আবার কোন কোন মালিক পতিত জমিকে মাছচাষের উপযোগি করে তোলেন।

লাফার্জ হোলসিম এই জমিগুলো থেকে মাটি সংগ্রহ করে এবং পরবর্তীতে এই জমিগুলোকে চাষযোগ্য করে তোলার বিষয়টি নিশ্চিত করে। আমাদের এই কার্যক্রমের ফলে জমি মালিক এবং কৃষক নানা ভাবে উপকৃত হয়- জমি চাষযোগ্য করতে বাড়তি অর্থ ও শ্রম খরচ করতে হয় না, এবং পতিতজমি এক ফসলি জমিতে পরিনত হয়। লাফার্জ হোলসিম আইনের প্রতিশ্রদ্ধশীল থেকে উৎপাদনকার্যক্রম পরিচালনাকরে। ধুলবালি নির্গমন, শব্দসহ সকল ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনে অনুমোদিত মাত্রা মেনে চলি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত