শাবি প্রতিনিধি

১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ২০:০৮

দেশে ধনী-গরীবের পার্থক্য থাকবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে ধনী আর গরীবের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০১৮-১৯ সেশনের স্নাতকে ভর্তি হওয়া ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মডেল ইকোনমিক দাবি করে বলেন,  "এসব সম্ভব হয়েছে আমাদের ডায়নামিক জনসাধারণের কারণে এবং আমাদের নেতৃত্বের কারণে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে চাই যেখানে ধনী-গরিবের পার্থক্য থাকবে না এবং অন্ন, শিক্ষা, বাসস্থানসহ অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।"

সিলেট নগরীকে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল নগরী হিসেবে তৈরি করার হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "বর্তমান সরকার সিলেটে আইসিটি পার্ক তৈরি করছে। ওসমানী বিমানবন্দরের কাছে আমরা একটি প্রাইভেট ইকোনমিক জোন তৈরি করছি। এর মাধ্যমে সিলেট শহরের যেকোনো জায়গাতে সবাই বিনা পয়সাতে ওয়াইফাই পাবে। আর এভাবে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সিলেট বাংলাদেশে প্রথম ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ হবে।"

ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, "আগের থেকে বাংলাদেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেশে এখন আর কোন মন্দাবস্থা নেই, দেশ অনেক অগ্রসর হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ এখন অনেক বেশি এগিয়ে।"

বুধবার সকাল ৮টা থেকে নবীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পদচারণ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ড. মোমেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল গণি, অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক আহমেদ চৌধুরী, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, প্রক্টর ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিগত সময়ে শিক্ষা-গবেষণায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অর্জনকে তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আগামী দিনে তার পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা এবং লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা করেছি। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদেরও স্বাস্থ্যবীমা এবং লাইফ ইনস্যুরেন্সের আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষা-গবেষণায় অবদানের মাধ্যম এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সামনে তুলে ধরবো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত