ছাতক প্রতিনিধি

২৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০১:১৬

ছাতক হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী

বর্নাঢ্য ও দৃষ্টিনন্দন আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছাতক সরকারী মহুমুখী মডেল হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী, পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ও শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২জানুয়ারি) সকালে স্কুল মাঠে আন্তঃস্কুল বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও শীতকালীন পিঠা উৎসব আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান শিক্ষক মঈনুল হুসেন চৌধুরী। সকালে স্কুল মাঠে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে স্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা ও অলিম্পিক পতাকা উত্তালন, পায়রা অবমুক্ত এবং মশাল প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বিকেলে পুরস্কার বিতরণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদা আফসারী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সোনিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আবরু মিয়া তালুকদার, অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ, জেলা পরিষদ সদস্য আজমল হোসেন সজল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়, চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক রশিদ আহমদ, ছাতক সরকারী মহুমুখী মডেল হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য হাজী মখলিছুর রহমান, সামছুদ্দিন মিয়া প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্বে করেন প্রধান শিক্ষক মঈনুল হুসেন চৌধুরী ও অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক অজয় কৃষ্ণ পাল। পুরস্কার বিতরণীর শুরুতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি শামীম আহমদ চৌধুরীর প্রতিশ্রুত ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৯ম ও ১০ শ্রেনীতে উত্তীর্ন মেধাবী শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ ও ৭ম ও ৮ম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের ১টি করে ট্যাব উপহার দেন। প্রবাসী আব্দুল দয়াছ তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিদ্যালয়ে ১টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা প্রদানের ঘোষনা দেন। পরে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও শীতকালীন পিঠা উৎসব উপলক্ষে স্কুল মাঠকে দৃষ্টিনন্দন সাজে সজ্জিত করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে মাঠের চার কোনে চারটি স্টল বসায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিম উদ্দিন ও কবি জীবনানন্দ দাসের নামে নামকরন করা হয় এসব ষ্টলের। প্রতিটি ষ্টলে শোভা পাচ্ছিল গ্রাম বাংলার রকমারী পিঠা-পুলি। বাংলা সংস্কৃতির ভাবধারায় হাতের তৈরী গ্রামীন পিঠা-পুলি দিয়ে সাজানো ষ্টলগুলো যেন বাঙ্গালীয়ানাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। পরে প্রতিটি ষ্টল ঘুরে-ঘুরে পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় প্রতিটি ষ্টলে সাজানো পিঠা-পুলি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করানো হয়। রাতে স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকসহ অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত