এমসি কলেজ প্রতিনিধি

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৬:১৫

এমসি কলেজে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অণুবীক্ষণ

বাংলাদেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সচেতনতামূলক প্রচারণা করেছে সিলেটের সামাজিক সংগঠন অণুবীক্ষণ।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চোখে কালো কাপড় বেঁধে, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এমসি কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই প্রচারণা চালানো হয়। সেই সাথে ছাত্র সংসদ ভবনের দেয়ালে নারী নির্যাতনের প্রতীকী চিত্রাঙ্কন করে নিজেদের মৌন ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের সদস্যরা।

তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডগুলোতে 'শুধু ঘৃণা নয়, সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর', 'পুরুষ হওয়ার আগে মানুষ হওয়াটা জরুরী', 'যে সমাজে ৪ সন্তানের জননী গণধর্ষিত হয়, সেখানে আমি কতটা নিরাপদ?', 'Raise your voice against Rape' - ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিলো।

এ বিষয়ে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শফিকুর রহমান বলেন, নারীরা ঘরে-বাহিরে কোথাও নিরাপদ নয়। বাড়ির উঠোনে খেলতে থাকা বাচ্চা মেয়েকে তুলে নিয়ে যেমন ধর্ষণ করা হচ্ছে তেমনি চলমান বাসেও মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি ঘরের মধ্যে স্বামী এবং সন্তানের হাত পা বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের এই প্রতিবাদ নির্দিষ্ট কোনো ঘটনার বিচার চেয়ে নয়। আমাদের এই প্রতিবাদ সামগ্রিকভাবে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। আমরা চাই আমাদের প্রিয় জন্মভূমিতে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য সংস্কৃতির কবর রচনা হোক। আমাদের আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠুক মা, মাটি এবং স্বাধীন পতাকার ঘ্রাণে।

সামাজিক সংগঠন অণুবীক্ষণের এই প্রতিবাদ ও প্রচারণা সম্পর্কে আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক জুবায়ের আহমদ বলেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব নয়। প্রয়োজন সর্বস্তরে জনসচেতনতা। আর এই জনসচেতনতার দায়িত্বটা যখন অণুবীক্ষণের মতো তরুণ সমাজ পালন করে তখন রুগ্ন জাতির মধ্যে আশার সঞ্চার হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এক ঝাঁক তরুণের মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছিল সামাজিক সংগঠন অণুবীক্ষণ। প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সংগঠনটি সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সামাজিকতার ব্যাধিগ্রস্ত পটপরিবর্তনের লক্ষ্যে শতভাগ নিরক্ষর মুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে চলমান রেখেছে নিজেদের কার্যক্রম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত