ওসমানীনগর প্রতিনিধি

১৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ২২:১৫

মাদ্রাসা অধ্যক্ষের মৃত্যু: প্রভাষক লুৎফুরকে প্রধান আসামী করে মামলা

সিলেটের ওসমানীনগরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলামকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে নিহতের স্ত্রী দিলবাহার তালুকদার লিপি বাদি হয়ে একই মাদ্রাসার প্রভাষক(বাংলা) লুৎফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ওসমানীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় লুৎফুর ছাড়াও অজ্ঞাত ৫-৬জনকে করেছেন তিনি।

লিপি তার দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন, প্রভাষক লুৎফুর রহমানের দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে নিহত অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির কাছে নালিশ করেন। এর প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ লুৎফুর রহমানকে চাকরি থেকে বহিস্কার করে। বহিস্কারাদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেও লুৎফুর সফলতা না পেয়ে মোছলেকা দিয়ে পূনঃরায় মাদ্রাসায় যোগদান করে। কিন্তু যোগদানের কিছুদিন পর সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড জড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে উচিৎ শিক্ষা দেয়ার হুমকী প্রদান করে এবং হত্যার পরিকল্পনা করে। অধ্যক্ষকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে সে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করে।

এদিকে এ  ঘটনার পর অভিযুক্ত মাদ্রাসা প্রভাষক  দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেল লুৎফুর রহমান পলাতক রয়েছে।

ওসমানীনগর থানার পরিদর্শক(ওসি)এসএম আল-মামুন হত্যা মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী লুৎফুর রহমান পলাতক রয়েছে।  তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম মোটরসাইকেলযোগে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বুরঙ্গা সড়কের মুখ এলাকায় পৌছলে একটি দ্রুতগতির প্রাইভেট তাকে পেছন দিক থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ঘটনার পরপর অভিযোগ উঠে, একই মাদ্রাসার প্রভাষক লুৎফুর রহমান পরিকল্পিত ভাবে গাড়িচাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত