সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৮:২৬

সিলেটে পূবালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবস্থাপক সম্মেলন শুরু

সিলেটে পূবালী ব্যাংকের দু’দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যবস্থাপক সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরচিালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হালিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমদ ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হুসাইন, পরিচালক মঞ্জুরুর রহমান,  ফাহিম আহমদ ফারুক চৌধুরী,  কবিরুজ্জামান ইয়াকুব,  রুমানা শরীফ, আরিফ এ চৌধুরী এবং আসিফ এ চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী।

 অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে পূবালী ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং আমানতকারীদের আমানতের মর্যাদা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে গ্রাহকদের উন্নত সেবা দিয়ে আমাদের সুনাম এ মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে হবে।

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হালিম চৌধুরী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সারা দেশে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে পূবালী ব্যাংক। তিনি বলেন, ভাল উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ ও শ্রেণীকৃত ঋণ আদায় ব্যাংকারদের অন্যতম কাজ।  এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।  

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ ও উর্ধতন নির্বাহীবৃন্দ। এছাড়া দিনব্যাপী বিভিন্ন ব্যবসায়ীক আলোচনায় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশ নেন। সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও ব্যাংকের আগামীর পরিকল্পনা তুলে ধরেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ আলী। সারা দেশের পূবালী ব্যাংকের ৪৭৩ টি শাখার ব্যবস্থাপকবৃন্দ, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপকবৃন্দ, সকল অঞ্চল প্রধান এবং অন্যান্য উর্ধতন নির্বাহীবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন। দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলন  রোববার শেষ হবে। সম্মেলনে ২০১৮ সালে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ৫৯ জন ব্যবস্থাপককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত