নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ মার্চ, ২০১৯ ১৭:০৫

শিক্ষার সর্বস্তরে চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যের তালিকায় নিঃসন্দেহে শীর্ষে রয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় শিক্ষাবিস্তারে অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার। শিক্ষার আলোয় এখন আলোকিত পুরো বাংলাদেশ। আলোকিত জনগোষ্ঠী গড়তে বাংলাদেশে শিক্ষার গুণগত মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক দশকে শিক্ষার সর্বস্তরেই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার এই ব্যাপক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অর্জন অর্থনীতির ভিত্তিকেও করেছে মজবুত ও টেকসই, দেশকে বিশ্বের বুকে দিয়েছে এক পৃথক পরিচিতি।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে সিলেটের রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার দাদা দীর্ঘ বছর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯২৬ সালে তিনি আসাম ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন প্রায় ১৭ বছর তিনি মন্ত্রিত্ব করেন। তিনি জাতীয় সংসদে ৮ বছর স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। ইষ্ট বেঙ্গল হওয়ার পর  ১৯৪৭-৫৪ পর্যন্ত তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এ কারণে শিক্ষার সাথে তার পরিবারের একটি ভালো সম্পর্ক।

রাজা জিসি হাই স্কুলকে আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, তৎকালীন সময়ে রাজা জিসি হাই স্কুল অত্যন্ত উচ্চ মানের একটি স্কুল ছিল। আমি যখন সরকারি স্কুলে পড়ি আমি প্রথম স্কুল যাই পঞ্চম শ্রেণিতে এর আগে কখনো স্কুল যায়নি। তবে রাজা জিসি হাই স্কুলকে আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে যতটুকু সাহায্য সহযোগিতা লাগে আমি করে যাবো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  আমি মন্ত্রী হয়েছি মাত্র ২ মাস। কিন্তু আপনারা জানেন সিলেটের উন্নয়নের সাথে আমি প্রায় ৩ বছর থেকে জড়িত। এ সুযোগটা হয়েছিলো আমার বড় ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কারণে। অনেকগুলো স্কুলে আমরা বিল্ডিং দিয়েছি। রাজা জিসি হাই স্কুলের কথা আমার কাছে কেউ কোনদিন বলেননি। সম্প্রতিকালে আমরা শুনলাম রাজা জিসি হাই স্কুলে কোন বিল্ডিং দেওয়া হয়নি। যার কারণে এ স্কুলে ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও শিক্ষিকা ফৌজিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিৎ চৌধুরী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক  ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মুমিতের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সহকারি প্রধান শিক্ষক হাছিনা মমতাজ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাইলট স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক কবির খান, এইডেড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শমশের আলী, মহানগর শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহমদ আলী, বর্ণা চক্রবর্তী, গাউসিয়া চৌধুরী, মানিক খান, মাকুদুল আম্বিয়া, শর্মিলা চৌধুরী, শিল্পী রানী সরকার, বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত