নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ মার্চ, ২০১৯ ১৬:৩৯

সিলেটের কেন্দ্রগুলোতে যাচ্ছে ভোটের সরঞ্জামাদি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে সিলেটের ১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ সোমবার (১৮ মার্চ)। এ উপলক্ষে সিলেটের সবকটি ভোটকেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জামাদি পাঠানো শুরু করেছে রিটার্নিং অফিস।

রোববার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে জেলার সব উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে এসব নির্বাচনী মালামাল সরবরাহ করা বলে জানান নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দীপ কুমার সিংহ।

তিনি জানান, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরঞ্জাম পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে। যথাসময়েই তা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।’

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সিলেট জেলায় ১৩টি থাকলেও এবারের নির্বাচনে ভোট হবে ১২টি উপজেলায়। এসব উপজেলায় স্থায়ী ভোটকেন্দ্র ৮১৪ ও অস্থায়ী ১টি ভোটকেন্দ্র মিলিয়ে মোট কেন্দ্র রয়েছে ৮১৫টি। ভোটকক্ষ স্থায়ী ৪ হাজার ৮৬ ও অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৩২৮টিসহ মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ৪ হাজার ৪১৪টি।  প্রিজাইডিং অফিসার ৮১৫, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার  ৪হাজার ৪১৪ জন, পোলিং অফিসার ৮ হাজার ৮২৮ জনসহ ভোটে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪ হাজার ৫৭ জন।

২০১৭ সালে ওসমানীনগর উপজেলায় ভোট হওয়ায় এবার সেখানে নির্বাচন হবে না। তাই ভোট হবে ১২ উপজেলায়। এই ১২ উপজেলায় এবার ভোটার সংখ্যা ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭১০। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৮০ হাজার ৯০ জন ও নারী ভোটার ৮লাখ ৮৫ হাজার ৬২০জন। এছাড়াও ৯৭টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভায় ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে ৮১৫টি।

১২টি উপজেলার মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। এ উপজেলায় ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৫শ’। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি, যাচাই বাছাই হয় ২০ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ ১৮ মার্চ।

সিলেটের ১২টি উপজেলায় এবারের নির্বাচনে ১৭৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৭৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। তবে কানাইঘাট উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় খাদিজা বেগমকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় গত ২৮  ফেব্রুয়ারি। ১২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ৫৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ৭৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ৪২জন প্রার্থী।

এদিকে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে শনিবার থেকে মাঠে নেমেছেন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরেও দুদিন মাঠে থাকবেন তারা। এ ছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্য ও গ্রামপুলিশ থাকবে সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রভেদে।

সাধারণ কেন্দ্রে ১৪, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন নিয়োজিত থাকবেন। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতি এলাকায় দুই থেকে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড, পুলিশ, আমর্ড পুলিশ মোতায়েন থাকছে। এ ছাড়া রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে জেলাপর্যায়ে তিন দিনের জন্য মনিটরিং সেল এবং নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ইসি সচিবালয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী (উপজেলায়) এলাকায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত