নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ মার্চ, ২০১৯ ১৬:১১

গোলাপগঞ্জে পৌর কাউন্সিলরের নেতৃত্বে জাল ভোট

জাল ভোটে বাধা দেওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আহাদকে শাসাচ্ছেন যুবলীগ নেতা বাদশা। বিকেলে গোলাপগঞ্জের পৌরসভা কেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌর কাউন্সিলর রুহিন আহমদের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারা ও সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) গোলাপগঞ্জের পৌরসভা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এসময় উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আহাদকে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে হুমকি দেন কাউন্সিলরের সাথে থাকা যুবলীগ নেতা বাদশা। আব্দুল আহাদ বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অভিযোগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলার রুহিন আহমদের নেতৃত্বে সকালে পৌরসভা কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারতে থাকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরাও ওই কেন্দ্রে গিয়ে জাল ভোট দেওয়ার চিত্র দেখতে পান। জাল ভোটের চিত্র ধারণ করতে গেলে গণামাদ্যকর্মীদের উপর চাড়াও হন উপস্থিত যুবলীগ নেতাকর্মীরা। পরে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে পৌঁছে তোপের মুখে থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্ধার করে বাইরে বের করে আনেন।

একই কেন্দ্রে বিকেলে আবার জাল ভোট প্রদান শুরু করেন কাউন্সিলর রুহিনের অনুসারীরা। তখন আবারও গণামধ্যম কর্মীদের ওপর চড়াও হয় স্থানীয় যুবলীগ নেতা-কর্মীরা। পরে বিজিবি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও  ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় গণমাধ্যম কর্মীরা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা থাকবে।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল হক শিবলি জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌরসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সালেহ আহমদ বলেন, কোথাও কোন জাল ভোট হচ্ছে না। সব স্বাভাবিক আছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত