সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২৩ মার্চ, ২০১৯ ১৮:০১

সুনামগঞ্জে হাওর আন্দোলনের নেতার খুনীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জে ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠক  মো. আজাদ মিয়ার খুনীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শহরের আলফাত স্কয়ারে এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। মানববন্ধনে মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের দেখার হাওরপাড়ের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘খুন হবার এক সপ্তাহ্ আগেও আজাদ মিয়ার নেতৃত্বে হাওর দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। হাওর রক্ষা বাঁধে অনিয়ম ও কোটি কোটি টাকা অপচয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) নিজে বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।’ দেখার হাওরপাড়ের জনপ্রিয় এই কৃষক নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট খুনীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন বক্তব্য দেন জেলা হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, সহসভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সংগঠক এমরানুল হক চৌধুরী, মাসুম হেলাল, শহীদ নূর, আসাদ মনি, নিহতের ভাই আজিজ মিয়া ও আফরুজ রায়হান, কৃষক নেতা মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন, আল আমিন, রিয়াজ উদ্দিন, আব্দুল লতিফ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, কৃষক নেতা আজাদ মিয়া গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জ শহর থেকে বড়পাড়ায় তাঁর নিজ বাসায় ফেরার সময় প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সামনে দৃর্বৃত্বের আক্রমণে মাথায় আঘাত পান। প্রথমে তাঁকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিন দিন অজ্ঞান অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রোববার রাত সাড়ে সাতটায়  ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

আজাদ মিয়া সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁর গ্রামে বাড়ি সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে। তিনি মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়কও ছিলেন।

ঘটনার পরদিন (১৮ মার্চ) ৪ জনকে আসামী করে তাঁর ভাই আজিজ মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী করা হয় মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের উকিল আলী, তার ছেলে পাভেল মিয়া, মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্থানীয় আকিলপুর গ্রামের বাসিন্দ নুরুল হক ও রিপন আলীকে। পুলিশ উকিল আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হকসহ অন্য আসামিরা শনিবার (২৩ মার্চ) পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত