নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ মার্চ, ২০১৯ ২২:৪৬

আলো ও অন্ধকারে সিলেটে কালরাত্রি স্মরণ

সিলেটে আলো ও অন্ধকারে স্মরণ করা হয়েছে ভয়াল কালরাত্রি। রাত ৯টায় প্রতীকী 'ব্ল্যাকআউট'-এর মাধ্যমে অন্ধকার করে ও পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আলোক প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ২৫মার্চের গত্যাহত্যার স্মরণ করা হয়।

রাত নয়টার পর সিলেটের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অলোকপ্রজ্জল করে সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি। এর আগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের অনুষ্ঠান চলাকালে ঘড়ির কাটায় ৯টা বাজার সাথে সাথে অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে সকল আলো নিভিয়ে ১ মিনিটের জন্য প্রতীকী 'ব্ল্যাকআউট' কর্মসূচি পালন করা হয়।

এছাড়াও ২৫ মার্চ কালরাত্রি উপলক্ষে জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করতে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট কর্মসূচী পালন করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), সিলেট। এসময় সিলেটের জরুরি স্থাপনা ছাড়া প্রায় সকল জায়গায় ১ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে পিডিবি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালি নিধনে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। এদিন রাতে পাক সেনারা যে, পরিকল্পিতভাবে ঢাকায় হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিল সে ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধমে স্বীকৃত। অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা হেরাল্ড ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুসারে, ২৫ মার্চ রাতে শুধু ঢাকা শহরেই ১ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল পাকবাহিনী।

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। এরপর নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। এর পর থেকেই দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এবার প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ তথা ‘নীরবতা পালন’ কর্মসূচির সময় জরুরি স্থাপনা ও চলমান যানবাহন ছাড়া সারাদেশের মানুষ দাঁড়িয়ে ও সব আলো নিভিয়ে একসঙ্গে নীরবতা পালনের কর্মসূচি ছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত