নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০৭

সিলেটে হচ্ছে ৫টি সীমান্ত হাট, ডিসেম্বরেই চালু হবে ভোলাগঞ্জের হাট

কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে নির্মাণ কাজ চলছে জেলার প্রথম সীমান্ত হাটের

সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনমান সহজতর করতে সিলেটের সীমান্ত এলাকাগুলো বসছে আরও ৫টি সীমান্ত হাট। এরমধ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সীমান্ত হাটের নির্মান কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। চলতি বছরেই এই হাট চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভারত যৌথ সীমান্ত হাট কমিটি।

বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকায় এ পর্যন্ত ৪টি সীমান্ত হাট চালু রয়েছে। এরমধ্যে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ডলুরায় একটি হাট রয়েছে। নতুন করে আরও ৬টি সীমান্ত হাটের নির্মান কাজ চলছে। নির্মানাধীন ৬টি হাটের মধ্যে ৫টি হাট রয়েছে সিলেট বিভাগে। এসব হাটগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেরই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা কেনাকাটা করতে পারবেন। ব্যবসায়ীও থাকবেন দুই দেশের।

নির্মানাধীন সবগুলো হাট দ্রুত চালু করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ভারত যৌথ সীমান্ত হাট কমিটি। এছাড়া আরো ৬টি সীমান্ত হাট করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে বাংলাদেশ ভারত যৌথ সীমান্ত হাট কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জেই হচ্ছে সিলেট জেলার প্রথম সীমান্ত হাট। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি চালুর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া মৌলভীবাজারের কুরমাঘাট (কমলগঞ্জ) ও পশ্চিম বাটুলী (জুড়ী) সীমান্ত, সুনামগঞ্জের বাগানবাড়ি (দোয়ারা বাজার) ও সায়দাবাদ (তাহিরপুর) সীমান্তে আরও ৪টি সীমান্ত হাটের কাজ চলছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় সিলেট জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ভারত যৌথ সীমান্ত হাট কমিটির দুই দফা বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম।

এছাড়া সিলেটের বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ও কানাইঘাট সীমান্তে এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট নলুয়া সীমান্তে আরও ৬টি সীমান্ত হাট করা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।।

নতুন সীমান্ত হাট চালুর বিষয়ে গত বছর আগরতলায় প্রথম বৈঠক হয়। সিলেটে এটি দ্বিতীয় বৈঠক। এই বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত হাটে দুই দেশের ৫০টি করে দোকান থাকবে। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্ধারণ করবে কত টাকা পর্যন্ত মালামাল কিনতে পারবেন। তবে পন্য কেনা ২শ ডলারের মধ্যে সীমিত রাখা হবে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে বিজিবি ও বিএসএফের পাশাপাশি লোকাল পুলিশ কাজ করবে। নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত হাটের ব্যবসায়ীদের ছবিসহ আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও বাজারে প্রবেশকারীদের দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।  
 
সীমান্ত বাজার সংক্রান্ত এই বৈঠকে ১৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম ও ভারতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন বাণিজ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ভূপিন্দর এস বাল্লা।
 
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এএইচএম আহসান, যুগ্ম সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান, যুগ্ম সচিব নুর মো. মাহবুবুল হক, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোল্লা মিজানুর রহমান ও মো. সেলিম হোসেন।
 
ভারতের প্রতিনিধিদলে উপস্থিতি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক হিতেশ রাজপাল, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (বাণিজ্য) শিশির কোঠারি, আসাম অঙ্গরাজ্যের উপসচিব সাজ্জাদ আলম, মেঘালয় অঙ্গরাজ্যের উপ-পরিচালক উইনফ্রেড ওয়ারশং প্রমুখ।
 
এরআগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সীমান্তের ১২৪৮/১১এস ও ১২৪৮/১২এস পিলারের কাছে সীমান্ত হাটের স্থান পর্যক্ষেণ করেন প্রতিনিধিদল। সেখানে সীমান্ত হাট গড়ে তোলার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছান তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত