গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

১২ মে, ২০১৯ ১৩:৩১

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবিতে নিহত দু'জনের বাড়ি গোলাপগঞ্জে

ইতালি যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রা করেন গোলাপগঞ্জের কামরান আহমেদ মারুফ (২০) ও আফজল মাহমুদ (২৫)কিন্তু ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবিতে তাদের সলিল সমাধিতে ইতি হয় স্বপ্নের। 

শুক্রবার (১০ মে) সকালে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া সমুদ্র উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলে নৌকায় থাকা অন্যানদের সাথে মারুফ ও আফজালের সলিল সমাধি ঘটে। এ ঘটনায় মারুফের ভাই মাছুম আহমদ (২৫) ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

এ সময় তিউনিসিয়া উপকূলে মাছ ধরার একটি নৌকার জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৬ জনকে উদ্ধার করে। এই উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে মাছুম আহমদও রয়েছেন।

নিহত কামরান আহমদ মারুফ উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছোট ছেলে ও আফজল মাহমুদ (২৫) একই উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের হাওরতলা গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ৩য় পুত্র।

জানা যায়, গত তিনমাস আগে মারুফ ও তার বড় ভাই মাছুম আহমদ এবং আফজল মাহমুদ অবৈধভাবে সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার জন্য লিভিয়ায় যায়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় লিবিয়ার যুয়ারা এলাকা থেকে নৌকা করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের লক্ষ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে ওই নৌকা যাত্রা করে। শুক্রবার (১০ মে) সকালে অভিবাসন প্রত্যাশীদের দলটি তিউনিসিয়া উপকূলের কাছাকাছি আসলে সমুদ্রের বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় তাদেরকে বহনকারি নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় তিউনিসিয়া উপকূলে মাছ ধরার একটি নৌকার জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৬ জনকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। বাকীরা নিখোঁজ, এর বেশীরভাগই মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে মারুফের বড়ভাই মাসুদ আহমদ এ প্রতিবেদককে বেঁচে যাওয়া মাছুমের বরাত দিয়ে বলেন, মারুফকে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি। সে সমুদ্রের ঢেউয়ে হারিয়ে যায়। এসময় জেলেরা মাছ ধরার নৌকা দিয়ে ১৬ জনকে উদ্ধার করে।

আফজল মাহমুদের ছোট ভাই জাবেদ আহমদ জানান, আমার ভাই আফজল মাহমুদ ও মারুফদের সাথে ছিল। তাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত