শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

১২ মে, ২০১৯ ১৫:৩৮

লাউয়াছড়ায় মোবাইল টাওয়ার নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণের প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গল শহরে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবিদরা। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেন তারা।

রোববার (১২ মে) সকালে শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনা চত্বরে ‘লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলন’ এর আয়োজনে মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

সংগঠনের আহবায়ক জলি পালের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক দীপেন্দ্র ভট্টাচার্য, শ্রীমঙ্গল মহিলা পরিষদের সভাপতি প্রভাসিনী সিনহা, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সদস্য সৈয়দ আমিরুজ্জামান, আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজি শামছুল হক, যুগ্ম আহবায়ক তাপস দাস, বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) এর মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক আ স ম সালেহ সোহেল, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক জহর লাল দত্ত, লাউয়াছড়া খাসি (খাসিয়া) পুঞ্জির গ্রাম প্রধান ফিলা পত্মী, জেলা যুব ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর জয়েস, কবি ও নাট্যকার জহিরুল মিঠু, নাট্য নির্দেশক ফয়সল আহমেদ, মানবাধিকার কর্মী এস কে দাশ সুমন, কবি ও লেখক জাবেদ ভুঁইয়া প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লাউয়াছড়ায় মোবাইল টাওয়ার বসালে এখানকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। লাউয়াছড়ায় টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত বন ধ্বংসের পায়তারা বলেই মনে হচ্ছে। মোস্তাফা জব্বার একজন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে সারাদেশেই নেটওয়ার্ক বসাতে চাচ্ছেন। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে টাওয়ার বসালে যে মোবাইল নেটওয়ার্কের রেডিয়েশনের প্রভাবে প্রাণীদের জীববৈচিত্র্যে প্রচুর সমস্যা হয় তাও মন্ত্রীকে বুঝতে হবে। লাউয়াছড়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাছে এ রকম টাওয়ার বসানো বন্যপ্রাণীদের জন্য হুমকিস্বরুপ। পাখির ডিমসহ বন্যপ্রাণীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তারা আরও বলেন, আমরা মোবাইল টাওয়ার বসানোর বিপক্ষে নই। তবে সেটা যেন বনের বাইরে হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে উনার মন্ত্রীসভার একজন মন্ত্রী এ রকম বক্তব্য কিভাবে ফেসবুকে লিখেন? আইসিটি মন্ত্রীর হয়তো বা ধারণাই নেই লাউয়াছড়ায় মোবাইলের টাওয়ার বসালে কি ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে বন্যপ্রাণী ও তাদের জীববৈচিত্র্য। উনার কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আশা করা যায় না। ফেসবুকে এ ধরনের মন্তব্য করার জন্য তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। মন্ত্রীরা এসি রুমে বসে এরকম সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে এই জায়গায় এসে দেখে যাক।

এদিকে মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর বরাবরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত