১৪ মে, ২০১৯ ১৬:৩২
সিলেট উইমেনস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের ৩ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে বেলা ১টার দিকে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় সারোয়ার জামিন নিয়েছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করলেও কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। তাই তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে জামিনের কাগজপত্র থানায় দেখিয়ে মুক্তি পান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, সিলেট উইমেনস মেডিকেল কলেজের দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়। পরে কোর্ট থেকে এ মামলায় জামিন নেয়ার কাগজ দেখালে আমরা তাকে ছেড়ে দেই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগা একজনকে সিলেট উইমেনস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরি প্রদর্শন করে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দিলে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ মে) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফেরদৌস হাসান। মামলায় সারোয়ারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আর ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে শনিবার (১১ মে) বিকালে ওই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছিলেন ফেরদৌস হাসান।
তবে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দ্রুত মামলা দায়ের ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হচ্ছিলো। এই দাবিতে শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।
সোমবার দুপুরেও সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আপনার মন্তব্য