বানিয়াচং প্রতিনিধি

২০ মে, ২০১৯ ১৪:০১

বানিয়াচংয়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের টালবাহানা, ভোগান্তিতে গ্রাহক

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নতুনবাজারস্থ অগ্রণী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং শাখায় পল্লী বিদ্যুতের বিল জমা নিলেও এই বিল বিদ্যুত অফিসের জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিল বিদ্যুত অফিসে জমা না হওয়ার ফলে বিল বকেয়া হয়ে বাড়তি বিল আসছে। তাই প্রায় প্রতিদিনই বানিয়াচং নতুনবাজারের রুবেল ম্যানসনের ২য় তলায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় শতশত গ্রাহক এসে অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছেন। নিজের অজান্তে বকেয়া বিল জমা হওয়ার কারণে অনেক গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হচ্ছে। অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বানিয়াচংয়ের পল্লী বিদ্যুতের শতশত গ্রাহক।

জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং নিয়ে কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে নতুনবাজারের রুবেল ম্যানসনের ২য় তলায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের এই শাখাটি। স্থানীয় একটি ব্যাংকে গিয়ে বিল দেয়ার জক্কি জামেলা ও দীর্ঘ লাইন থাকে বিধায় অত্র অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এই বাড়তি টাকা দিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে তাদের বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে আসেন র্দীঘদিন যাবত। কয়েকমাস যাবত এই ব্যাংকে গ্রাহকের জমা দেয়া বিল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা না হওয়ায় চলতি মাসের বিলের সাথে বকেয়া বাড়তি বিল আসছে গ্রাহকদের। আবার সেই বিল পরিশোধ না করায় তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে পল্লীবিদ্যুত কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২০ মে) অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গিয়ে দেখা যায় গ্রাহকের নানা অভিযোগ। মহব্বতখানীর গ্রাহক মতিউর রহমান (হিসাব নং ৯৮০/১১১৮) জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসের সমুদয় বিল আমি তাদের মাধ্যমে জমা দিয়েছি। কিন্ত এই বিলের টাকা চলতি মাসের বিলের সাথে যোগ করে বিল দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। মার্চ মাসের বিলের কপি পল্লী বিদ্যুতের অফিসে নিয়ে গেলে তারা এই বিল জমা হয়নি বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে অগ্রণী ব্যাংকিংয়ে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

একই ধরণের অভিযোগ জানিয়েছেন দোয়াখানীর রাসেল মিয়া (হিসাব নং-৯৪৪/১৬১৬), যাত্রাপাশার গিয়াস উদ্দিন (হিসাব নং-৯৬২/৬০৬৬)।

অন্যদিকে পাঁড়াগাও মহল্লার আব্দুস সহিদ (হিসাব নং-৯৪৩/৩০০০) বলেন, আমার এক বিল বাকী থাকতেই আমার ঘরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। অথচ আমার এই বিল জমা দেয়া। বিলের কপিও আছে। এখন পুণঃসংযোগ নিতে আমাকে বাড়তি ১২০০ টাকা গুণতে হচ্ছে। এটা শুধু মাত্র অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে।

এই বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের দুয়ার ব্যাংকিং বানিয়াচং শাখার এজেন্ট ইকবাল হোসাইনের সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বানিয়াচং পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসাইন বলেন, এই রকম শতশত অভিযোগ নিয়ে গ্রাহক প্রায়ই আমার কাছে আসছে। আমরা অচিরেই এই অগ্রণী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং শাখার কার্যক্রম বন্ধ করতে যাচ্ছি।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত