জামালগঞ্জ প্রতিনিধি

১২ জুন, ২০১৯ ১৪:২৭

জামালগঞ্জে শ্মশানঘাট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের যতীন্দ্রপুর গ্রামে একটি শ্মশানঘাট নির্মাণে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজে ব্যাপক অনিয়ম করায় এক মাসের মধ্যেই তা ভেঙ্গে গেছে। ফলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ৩ জুন বেহেলী ইউনিয়নের যতীন্দ্রপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অনিরুদ্ধ দাসসহ কয়েকজন স্বাক্ষরিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এই লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে যতীন্দ্রপুর গ্রামে একটি শ্মশানঘাট নির্মাণের জন্য সরকারের এলজিইডি বিভাগের জিএসআইডিপি প্রকল্পের অধীনে ৪ (চার) লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমান নামে জনৈক ঠিকাদারের কথা উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগে আরো বলা হয়, শ্মশানঘাট নির্মাণকাজে গুনগত মান ভালো না হওয়ায় এতে গ্রামবাসী আপত্তি জানালে ঠিকাদার জিয়াউর রহমান কারো অভিযোগে কর্ণপাত করেন নি। যে কারণে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত রড, সিমেন্ট, বালু, সিঙ্গেল ইটসহ বিভিন্ন উপকরণ নিম্নমানের হওয়ায় এক মাসের মাথাতেই তা ভেঙ্গে পড়ে।

এ ব্যাপারে যতীন্দ্রপুর গ্রামের লোকজন জানান, শ্মশানঘাটে চালা ও পাশের পুকুরঘাটে উপযোগী করে ঘাটলা দেওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার জিয়াউর রহমান তা না করে কাজের জন্য যে উপকরণ এনেছিলেন তা এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সংশ্লিষ্ট পরিবহন শ্রমিকের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছেন। সরকার টাকা দিবে আর ঠিকাদার পুকুর চুরি করবে তা মানা যায় না।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাজ এখনও চলমান। ঈদের বন্ধ থাকায় শ্রমিক সঙ্কটের কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখন কাজ করা হবে।

কাজের দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডি বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান বলেন, শ্মশানঘাটের নির্মাণ কাজ এখনও চলমান আছে। আমরা অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। প্রকল্প কাজের গুনগত মান ভালো না হলে ঠিকাদারকে কোন বিল দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে নতুন করে আবার কাজ করানো হবে।

এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, আগে কাজ দেখবো। কাজের মান সন্তোষজনক না হলে ঠিকাদার কোন টাকা পাবেন না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলজিইডির প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সঠিকভাবে কাজ না হলে বরাদ্দের টাকা প্রদান করা হবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত