নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুন, ২০১৯ ১৫:১৯

ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তা জেরেই জামালকে হত্যা, দুই বন্ধুর স্বীকারোক্তি

ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে মো. আব্দুল হাফিজ জামালকে হত্যা করে তার বন্ধু জব্বার আলী জনি (২১) ও জুনেদ (২২)।

সিলেট সদর উপজেলার বিআইডিসি খন্দকার মার্কেটের সামনে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে মো. আব্দুল হাফিজ জামাল (২০) নিহতের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তার দুই বন্ধু জব্বার আলী জনি (২১) ও জুনেদ (২২)।

এর আগে গত ১১ জুন এজাহারনামীয় আসামি জব্বার আলী জনি ও জুনেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপটন পুরকায়স্থ আসামিদেরকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

রোববার (১৬ জুন) তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হলে, দুই আসামি হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিজেদেরকে জড়িত করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জনি ও জুনেদ বলেন, গত ৫ মে এলাকায় ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তা নিয়ে আব্দুল হাফিজ জামালের সাথে তাদের মনোমালিন্য হয়। গত ৩০ মে বিকালে আসরের নামাজ শেষে হাফিজ তার বন্ধু রবিউল ইসলাম নবেল ও কাউছারসহ বিআইডিসি খন্দকার মার্কেট এর দক্ষিণ পাশের গেইটের ভিতরে বসে গল্প  করছিল। ওই সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার উদ্দেশ্যে জনি হাতে ছোরা নিয়ে এবং জুনেদ হাতে রামদা নিয়ে আক্রমণ করে। জনি তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে হাফিজের ডান পায়ের উরুতে ঘা মেরে জখম করেন। এসময় হাফিজ ঘটনাস্থলে লুঠিয়ে পড়ে। এ সময় ভিকটিমের বন্ধু রবিউল ইসলাম নবেল ও কাউছারের চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামি জনি ও জুনেদ পালিয়ে যায়।

এর আগে উক্ত ঘটনায় ভিকটিম মৃত মো. আব্দুল হাফিজ জামাল এর পিতা নজরুল ইসলাম (৬০) বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত