এস আলম সুমন, কুলাউড়া

২৬ জুন, ২০১৯ ১৬:৫৯

‘এমন দুর্ঘটনায় আর কোনো সন্তান যেন মা হারা না হয়’

রেলমন্ত্রীকে কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত মনোয়ারা পারভীনে মেয়েরা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচালে রেল দুর্ঘটনায় নিহত কুলাউড়া পৌর শহরের বাসিন্দা মনোয়ারা পারভীনের বাসায় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আহমদ নিহতের স্বজনদের দেখতে গেলে তাদেরকে পেয়ে নিহতের দুই মেয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলতে থাকেন, ‘এমন দুর্ঘটনায় আর কোনো সন্তান যেন মা হারা না হয়, আমরা আমাদের মায়ের এমন মৃত্যু চাইনি’।

এ সময় রেলমন্ত্রী এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ুমন্ত্রী তাদের সান্তনা দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।

পরে সহযোগিতাস্বরূপ ১ লক্ষ টাকা নিহত মনোয়ারা পারভীনের মেয়ের হাতে তুলে দেন। দুর্ঘটনায় বাকি নিহতদের এক লক্ষ ও আহতদের ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা প্রদানের কথা জানান রেলমন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ুমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আহমদ বুধবার দুপুর পৌনে একটার দিকে সিলেট থেকে কুলাউড়ার বরমচালে রোববার রাতে সংঘটিত উপবন ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।

সেখানে তাঁরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ জানতে চান। পরে তাঁরা ঘটনাস্থলের পাশে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় যোগ দেন।

সভায় বক্তব্য দেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বন, পরিবেশ ও জলবায়ুমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আহমদ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান।

এ সময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সাবেক সাংসদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, রেলওয়ে কর্মকর্তা, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ ও সেতুর জন্য দুর্ঘটনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেল, সড়ক, নৌ ও বিমানে সব জায়গায় ঝুঁকি রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে দুটি কমিটি কাজ করছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে দুর্ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, জরাজীর্ণ সেতুগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে। তাছাড়া সিলেট-আখাউড়া রেলপথ ডুয়েলগেজ করার জন্য মন্ত্রিপরিষদে বরাদ্দ পেয়েছে সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে এ রেলপথটি আধুনিক ও নিরাপদ হবে। দুর্ঘটনায় রেল কর্মকর্তাদের কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরে তাঁরা কুলাউড়ায় নিহত মনোয়ারা পারভীনের বাসায় যান। সেখান থেকে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে অবস্থান করেন এবং বিকেল সোয়া ৪টায় কুলাউড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত