বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

২৬ জুন, ২০১৯ ১৮:৪৬

বিশ্বনাথে ডাকাতদের গুলিতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত: টার্গেট ছিল প্রবাসীদের বাড়ি

সিলেটের বিশ্বনাথের কুড়িখলা ব্রিজে বুধবার ভোরে ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।  প্রায় ১৫মিনিটের বন্দুকযুদ্ধে উভয়পক্ষে ২৪ থেকে ২৫রাউন্ড গুলি বিনিময়কালে ৩ দারোগাসহ ৫পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহাত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় অস্ত্রসহ এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫পুলিশ সদস্যসহ ওই ৬জন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েনে।

আহতরা হলেন, আহতদের মধ্যে রয়েছেন, থানা পুলিশের এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা, এএসআই পরিমল চন্দ্রশীল, এএসআই জামাল খান, কনস্টেবল আব্দুল হক ও আবুল কালাম। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হওয়া এসআই পরিমল চন্দ্র শীলের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানাগেছে।

গোলাগুলিকালে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় আকুল মিয়া নামের এক ডাকাতকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে। এসময় তার নিকট থেকে ১টি দেশীয় পাইপগান, ২টি কার্তুজ, ৪টি শাবল, দুটি ব্যাগ ও ১টি কোমরের ব্যাগবেল্ট উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিত্তিতে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম জানতে পারেন লামাকাজির দিঘলী গ্রামের একটি হিন্দু বাড়িসহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ৩/৪টি প্রবাসী বাড়িতে টার্গেট করে ডাকাতির প্রস্তূতি নিচ্ছে ১৫/১৬ জনের ডাকাতদল। খবর পেয়েই তারা বিশ্বনাথের গুরুত্তপূর্ণ পয়েন্টে পয়েন্টে সাদা পোশাকে পুলিশ পাঠান।

অবশেষে নিশ্চিত হওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টারদিকে ডাকাতদের মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ওসি শামসুদ্দোহা, ওসি তদন্ত দুলাল আকন্দসহ আরও একদল পুলিশ নিয়ে লামাকাজি পয়েন্টের দিকে রওয়ানা হন। ডাকাতরা টের পেয়ে লামাকাজির দিঘলীর হিন্দু বাড়িতে হানা না দিয়ে খাজাঞ্চীর দিকে যাওয়া শুরু করে। এসময় পুলিশও ডাকাতদের পিছুৃ নেয়। একপর্যায়ে খাজাঞ্চীর কুড়িখলা ব্রিজে গেলে ডাকাতরা গুলি ছোঁড়া শুরু করে। প্রায় ১৫মিনিটে উভয় পক্ষে ২৪ রাউন্ড গোগুলাগুলির পর এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় ডাকতির প্রস্তূতি ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তূতি চলছে।

বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, মঙ্গলবার রাতে দিঘলী গ্রামের একটি হিন্দু বাড়িসহ কমপক্ষে ৩/৪টি প্রবাসী বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তূতি ছিল সঙ্গবদ্ধ অস্ত্রধারী ওই ডাকাত দলের।

সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্তা তথ্যের ভিত্তিতে খবর পাওয়ার সাথে সাথে তারা ডাকাতদের মোকাবেলা করে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। ডাকাতির প্রস্তূতি ও বন্ধুকযুদ্ধে অংশ নেওয়া অস্ত্রধারী বাকি ডাকাতদেরও গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত