সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ জুন, ২০১৯ ১৯:১১

আয়কর অধ্যদেশের ২টি আইটেম বাতিলের দাবি

সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সাংবাদিক সম্মেলন

আয়কর অধ্যদেশের ২টি আইটেম বাতিলের দাবি করেছে সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতি। প্রজ্ঞাপনটি কার্যকর হলে অবসরপ্রাপ্ত কতিপয় স্বার্থান্বেষী সুবিধা ভোগ করা সহ দুটি আইটেম বাতিল না করা হলে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে সমিতির নেতৃবৃন্দ আশঙ্কা প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় সমিতির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বারের সভাপতি এডভোকেট মো. আবুল ফজল বলেন, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৭৪ ধারার উপধারা ২ এর ক্লজ “এফ” প্রভাইসো এবং এস.আর.ও নং- ২১৩-আইন/আয়কর/২০১৯ (২৩ জুন ২০১৯ইং) এর আইটেম নম্বর ৪ এবং ৫ বাতিলের বাতিল করতে হবে। উক্ত প্রজ্ঞাপনটি কার্যকর হলে অবসরপ্রাপ্ত কতিপয় স্বার্থান্বেষী সুবিধা ভোগ করবেন এবং নিয়ন্ত্রনহীনভাবে কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন যার ফলে সরকার রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হবে এবং আয়কর পেশাজীবীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হবে ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি মহান জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মোট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। উক্ত বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৭৪ ধারার উপধারা ২ এর ক্লজ “এফ” প্রভাইসোটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। আয়কর আইনজীবীদের কার্যক্রম ও আচরণ সুশৃঙ্খল রাখার জন্য ২০০৬ সালের অর্থ আইনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে Provided that such an Income tax practitioner shall be a member of any registered Taxes Bar Association” প্রভাইসোটি সন্নিবেশিত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৬৪টি আয়কর আইনজীবী সমিতি রয়েছে। এই আইনজীবী সমিতিগুলোতে ১৮ হাজারেরও অধিক আয়কর আইনজীবী সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। উক্ত প্রভাইসোর উপর ভিত্তি করে আয়কর আইনজীবী সমিতিগুলো আয়কর আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। প্রভাইসোটি বিলুপ্ত হলে আয়কর আইনজীবীগণ সমিতিগুলোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবেন এবং তাদের নিয়ন্ত্রণহীন কার্যকলাপ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে, ফলশ্রুতিতে সরকারের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে করদাতার সংখ্যা প্রায় ৩৭ লক্ষ যার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন প্রায় ২০ লক্ষ করদাতা। ১ কোটি করদাতা উন্নীতকরনের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতি বছর অন্তত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে আয়কর পেশাজীবী সনদ প্রদান করলে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং উক্ত পেশাজীবীগণ রাজস্ব আহরণে সরকারের সহায়ক হবে এবং একইসাথে বেকারত্বের হার হ্রাস পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত ভিসন ২০-২১ এর আওতায় আগামী ৫ বছরে এক কোটি ত্রিশ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি বছর আয়কর পেশাজীবী সনদ প্রদানের মাধ্যমে উক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিশ্বাস করি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীসহ এ ব্যপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানানো হয়।

বারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল আলীম পাঠান সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বারের সহ-সভাপতি এডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, সাবেক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সোলেমান হোসেন খাঁন, আলী আকবর, মৌলভীবাজার কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহমুদুর রহমান, বিটিএল’র উপ-সচিব বদরুল হোসেন, খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম আহমদ, মোহাম্মদ আলী খোকন, নির্মলেন্দু রায়, এডভোকেট সুধাংশু ভূষণ ত্রিবেদী, কাজী আরিফুল হাসান, মিন্টু চন্দ্র রায় অনুপব্রত, ইকবাল আহমদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, মো. কামাল আহমদ, ইফতিয়াক হোসেন মঞ্জু, জহিরুল ইসলাম রিপন, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সদরুল হাসান চৌধুরী, মো. মাজাহারুল হক, জাহান জেব ইবনে খালেদ, মোহাম্মদ আজমল হোসেইন, মো. ইব্রাহিম, মারুফ আহমদ, নিজাম উদ্দিন খাঁন, আ স ম মুবিনুল হক শাহীন মামুনুর রশীদ, মো. খায়রুল আলম, এডভোকেট কমলেন্দু ভট্রাচার্য, এডভোকেট রাজু দেব, সৈকত দাস, রাকেশ সিংহ, তুষার রায় প্রমূখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত