কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০৭ জুলাই, ২০১৯ ১৭:৩৮

কমলগঞ্জে রেলসেতুর ঢালাই কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ

সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর আপ আউটার সিগনাল সংলগ্ন ধামালী ছড়া রেলসেতুর নিচে ঢালাইয়ের কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। শমশেরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর গফুর এমন অভিযোগ তুলে বলেন, বরমচালে এত বড় দুর্ঘটনার পরও ঠিকাদার কিভাবে ৩ নম্বর ইট ব্যবহার করছেন

সরেজমিন ধামালীছড়া রেলসেতু এলাকা ঘুরে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেও এ চিত্র পাওয়া যায়। শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের আপ আউটার সিগনাল সংলগ্ন ধামালী ছড়া এলাকায় গেলে দেখা যায়, রেল সেতুর ঢালাই কাজে দুটি পাওয়ার ট্রিলার ট্রলি দিয়ে এখানে ইট এনে রাখা হচ্ছে। এসব ইট খুবই নিম্নমানের। হাতে তুলে নিচে ফেলে দিলে ইট ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে যায়।

তিনি বিষয়টি প্রথমে শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারকে অবহিত করে তার কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে সিলেটে কর্মরত রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে অভিযোগ করেছিলেন। এসময় ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী ধামালী ছড়া রেল সেতুর ঢালাই কাজের ব্যবহৃত ইট নিয়ে কোন জবাব দেননি। পরে আব্দুল গফুর বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করেন।

গ্রামবাসীরা বলেন, ধামালী একটি পাহাড়ি ছড়া। ভারী বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে শুরু করলে এ সেতু এলাকায় প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়। এখানে ভাল মানের ইট ব্যবহার করে ঢালাই না দিলে পানির স্রোতের আঘাতে ঢালাই ভেঙ্গে যাবে।

ইট পরিবহনকালে পাওয়ার ট্রলার ট্রলির চালক ও শ্রমিকদের কাছে জানা যায়, সেলিম আহমদ এ কাজের ঠিকাদার। তাদের কাছ থেকে ঠিকাদার সেলিম আহমদের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে কয়েক দফা চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

কুলাউড়াস্থ রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (কর্ম) জুয়েল হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টি শুনছেন। সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত নিম্নমানের ইট পরিবর্তনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত