সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

১২ জুলাই, ২০১৯ ১২:২৩

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ হাজার একশ পরিবার

টানা বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি হিসাবে বন্যায় সুনামগঞ্জের প্রায় ১৩ হাজার ১০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সব সময় খোলার রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পাঠানো জরুরি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জের ১৩ হাজার একশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৯৫০, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ১৪০০, তাহিরপুর উপজেলায় ৪১০০, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ২৮৫০ এবং জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের সহায়তায় জন্য সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ১২৩৫ প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ২০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে।

অপরদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর জেলার সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এই বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবার পৌঁছে দিয়েছি। তাছাড়া জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৩শ মেট্রিক টন চালের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত