মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

১৫ জুলাই, ২০১৯ ১৪:৪৩

মৌলভীবাজারে চা শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন সামগ্রী এবং  শ্রমিক সন্তানদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষাবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পের উদ্যোগে চা-শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের এই সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে দুর্বার উন্নয়ন সহায়ক সংস্থা।

এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান।

প্রকল্প সমন্বয়কারী তাপস কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আলাউর রহমান, দুর্বার উন্নয়ন সহায়ক সংস্থার সভাপতি রিংকু চক্রবর্তী, নির্বাহী পরিচালক রাজু দেশোয়ারা, পরিচালক শিপন বাড়াইক প্রমুখ।

এ সময় ১০ জন চা-শ্রমিককে গবাদি পশু, ২০ জনকে সৌরবিদ্যুৎ উপকরণ, ১০ জনকে স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার নির্মাণ সামগ্রী, ২০০ চা-শ্রমিক নারী-পুরুষকে পোশাক এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ৩০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৭৮জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে।

দুর্বার উন্নয়ন সহায়ক সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক শিপন বাড়াইক বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, সেই ধারাবাহিকতায় দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য উনি সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে অন্তরের  অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি, এই প্রথমবারের মতো চা শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে পৃথক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। আশা করি এই বরাদ্দ অব্যাহত থাকবে।  

দুর্বার উন্নয়ন সহায়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাজু দেশোয়ারা বলেন, সবার একান্ত প্রচেষ্টায় গত বছর প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে চা শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য একটি বরাদ্দ প্রস্তাব করি। আমাদের প্রস্তাবনাটি গৃহীত হয় এবং আমরা বরাদ্দ পাই। আমরা আজকে অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিলো নিজের জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু করার। আমরা চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ পর্যায়ের উপকারভোগী নির্ধারণ করার। সবার কাছে আমরা এই সহযোগিতা পৌঁছে দিতে পারি নাই। এই বরাদ্দ অব্যাহত থাকলে পরবর্তীতে চা বাগানের অন্যান্যদের কাছেও সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনা মোতাবেক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে চা শ্রমিক ও তাদের সন্তানদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি সামনের দিনগুলোতে এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত