গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি

১৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:৫৭

গোলাপগঞ্জে সুরমা ও কুশিয়ারায় পানি বাড়ছে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সিলেটের গোলাপগঞ্জে পাহাড়ি ঢল, উজান থেকে নেমে আসা পানি ও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বানীগ্রাম, আওই, কালিজুরী, ছত্রিশ, বাগিরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়, বুধবারীবাজার, লামা চন্দরপুর, উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের আছিরগঞ্জ, বাগলা, হাজিরকোনা, গোয়াসপুর, ডেপুটি বাজার, শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের নুরজাহানপুর, কালিকৃষ্ণপুর, রাংজিয়ল, খাটকাইসহ বেশ ক’টি গ্রামে বন্যার পানিতে থৈ থৈ করছে।

বিশেষ করে হাকালুকি হাওরপাড়ের লোকজন বন্যার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়াও আমুড়া ইউনিয়নের গাঘুয়া গ্রাম ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মীরগঞ্জ বাজার পানিতে ডুবে গেছে। টানা বর্ষণে
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা আমুড়া ইউনিয়নের ঘাগুয়া, বাদেপাশা ইউনিয়নের বাগলাসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার দুপুর ২টায় উপজেলার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের নূরজাহানপুর, ইসলামপুর, রাংজিয়ল ও উজান মেহেরপুর এলাকার পানিবন্দি মানুষদের ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জী প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোলাপগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকার বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, চাউল সহ যাবতীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকাতেও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত