নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ জুলাই, ২০১৯ ০০:১৭

তরুণীর গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি, নগরীতে যুবক গ্রেপ্তার

সিলেটে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর গোপন ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর হুমকি দেয়ায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার যুবকের নাম তাওহিদুর রহমান এহিয়া (২৫)। তিনি নগরীর শেখঘাট এলাকার বাসিন্দা।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নগরীর সুরমা মার্কেটের পাশ থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা ও সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ওই তরুণী (২২) বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা। পর্ণোগ্রাফি আইনে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস পূর্বে গ্রেপ্তার তাওহিদুর রহমান এহিয়ার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। এর পর থেকে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সুবাদে গ্রেপ্তার তাওহিদুর রহমান এহিয়া বিভিন্ন সময় তরুণীর বাসায় যাওয়া আসা করতেন। এক পর্যায়ে এহিয়া ওই তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে তাদের দুইজনের সম্মতিতে তরুণীর নিজ বাসায় শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসময় গোপনে বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করে রাখেন ওই যুবক। পরে ওই যুবক বিয়ে না করায় তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন  তরুণী।

এ ঘটনার পর এহিয়া তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তরুণীর মোবাইলে বার বার ফোন দিয়ে তার সাথে সম্পর্ক রাখার চাপ প্রয়োগ করেন। অন্যথায় গোপনে ধারণকৃত এসব ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই তরুণী ১৭ জুলাই এসব ভিডিও ও ছবির সত্যতা যাচাই করেতে এহিয়ার সাথে দেখা করেন। তখন তিনি এহিয়ার ফোনে ভিডিও ও ছবি দেখে ডিলিট করে দেয়ার অনুরোধ করলেও এহিয়া তাতে কর্ণপাত করেননি। বরং তাকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন।

মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, এহিয়া ওই তরুণীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেরও চাপ দিতেন। এমনকি অন্য মেয়েদের তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করিয়ে দেয়ার জন্যও বলতেন। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে  তরুণী নিজের ও পরিবারের সম্মানের কথা বিবেচনা করে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে তাওহিদুর রহমান এহিয়া আরো একাধিক মেয়েদের সাথে প্রতারণা করেছেন এবং বিভিন্ন সময় টাকাপয়সা হাতিয়ে নিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক তরুণী কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত