তপন কুমার দাস, বড়লেখা

২০ জুলাই, ২০১৯ ১৮:২৬

শহীদ মিনার নির্মাণের ৪ দিনের মাথায় খসে পড়ছে পলেস্তারা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রের বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ সম্পন্নের ৪ দিনের মাথায় সিঁড়ির পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করেছে।  এদিকে শহীদ মিনারের মত একটি জাতীয় স্থাপনার নির্মাণ কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, পৌর শহরের বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান এই স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় তাহমিদ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

গত ১ মে নির্মাণ শুরু করে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পর গত ১৫ জুলাই শহীদ মিনারের উদ্বোধনী ফলক স্থাপন করা হয়। ৪ দিন যেতে না যেতেই শহীদ মিনারের সিঁড়ির নেট ফিনিসিংসহ পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করেছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন নন্দী জানান, কাজের শুরুতে ঠিকাদারের মিস্ত্রীরা নিম্নমানের ইট ব্যবহার করেছে। বালুর সাথে সিমেন্টের মিশ্রণ সঠিক না হওয়ায় কাজ শেষ করার ৪ দিনের মাথায় সিঁড়ি ভেঙ্গে যাচ্ছে। কাজ চলাকালীন আপত্তি করা সত্ত্বেও ঠিকাদার খারাপভাবে কাজ চালিয়ে গেছেন। কাজ শেষ করার পরও জানায়নি যে, কাজ শেষ হয়ে গেছে।

বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন শনিবার (২০ জুলাই) বলেন, ‘জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের নিকট বড়লেখায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনারের দাবী জানানো হয়। সকলের সম্মানে তিনি দাবী পূরণ করলেও নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে তা হতাশায় পরিণত হয়েছে।
এদিকে ঠিকাদার বিদ্যালয়ের কারো সাথে যোগাযোগ না করেই ৪ দিন আগে ত্রুটিপূর্ণ শহীদ মিনারে উদ্বোধনী ফলক লাগিয়ে দিয়েছেন।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহমিদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খছরুজ্জামান শনিবার (২০ জুলাই) বলেন, ‘নিচের সিঁড়িগুলো আগে করা যায়নি, মেঘের পানি জমে যাওয়ার কারণে। মিস্ত্রি শুক্রবার নিচের সিঁড়িগুলো কাজ করে। সাথে সাথে বৃষ্টি আসায় পলিথিন দিয়ে ঢাকতে পারেনি। এই জন্য সমস্যা হয়েছে। আর কিছু নয়। শহীদ মিনার ধীরে ধীরে কাজ করতে হয়। যেটুকু খসে পড়ছে সবগুলো ঠিক করে দেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান শনিবার (২০ জুলাই) বলেন, ‘শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজে অনিয়ম করে থাকলে ঠিকাদারকে অবশ্যই তা সংশোধন করতে হবে।’  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত