কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২০ জুলাই, ২০১৯ ১৮:৫৬

কমলগঞ্জে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মধ্যে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার হুমকির মুখে ফেলেছে মৎস্য সম্পদ। সম্প্রতি টানা বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢল নেমে ধলাই নদীর ভাঙ্গনের পর বন্যা প্লাবিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে।

এদিকে গত ১৭ জুলাই থেকে মৎস্য সপ্তাহ শুরু হলেও প্রকাশ্যে স্থানীয় কিছু অসাধু মাছ শিকারীচক্র কেওলার হাওরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পোতে মৎস্য সম্পদসহ জলজ প্রাণী শিকার করছে।

জানা যায়, সম্প্রতি টানা বর্ষণে ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে নদী ভাঙ্গনে বন্যা পরবর্তী উপজেলার নিম্নাঞ্চল শমশেরনগর, পতনঊষার ও মুন্সীবাজার ইউনিয়ন এবং রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নে অবস্থিত কেওলার হাওর, করাইয়াসহ বিভিন্ন জলাশয়ে ব্যাপকহারে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে সয়লাব হয়ে পড়ছে। বন্যা আসার সাথে সাথে উপজেলার শমশেরনগর বাজারে দেদারসে কারেন্ট জাল বিক্রি হলেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।

এদিকে মৎস্য সপ্তাহের মধ্যে এমন কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার নিয়ে পরিবেশবিদরাসহ স্থানীয় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এসব জালে পোনা মাছ, মা মাছ থেকে শুরু করে সকল প্রকার মাছ, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়াসহ জলজ প্রাণী আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। ফলে ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ।

তারা বলেন, "দেশব্যাপী মৎস্য সপ্তাহ চলমান থাকলেও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন জলাশয় ও হাওরে অবাধে কারেন্ট জালের ব্যবহার শুরু হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এভাবে চলতে থাকলেও মৎস্য অধিদপ্তর লোক দেখানো দু’একটি অভিযান করেই দায় সেরে ফেলে।"

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, কৃষক তোয়াবুর রহমান, সমাজসেবক দুরুদ আলী বলেন, "এমনিতেই দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বন্যা আসার পর নদী হাওরে মাছ পোনা করে বাড়তেই পারছে না। এখন মৎস্য সপ্তাহেও প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল কেনা বেচা ও জলাশয়ে জাল পোতে ধ্বংস করছে সকল প্রজাতির মাছ। ফলে স্থানীয় মৎস্যজীবিরা পানি কমার পর আর নদী হাওরে মাছ আহরণ করতে পারছে না।।"

এমন অভিযোগ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদ উল্ল্যা বলেন, "কারেন্ট জালের ব্যবহার বিষয়ে সব সময়েই অভিযান পরিচালিত হয়। এই মৎস্য সপ্তাহেও অভিযান পরিচালিত হবে।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত