নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জুলাই, ২০১৯ ১২:১৬

গিলাফ চড়ানোর মধ্য দিয়ে শাহজালাল (রহ.) এর ৭০০তম ওরস শুরু

গিলাফ চড়ানোর মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম ইসলাম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রহ.) এর ৭০০তম ওরস শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের লাখো ভক্ত-অনুরাগীর ঢল নেমেছে দরগাহ প্রাঙ্গণে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকেই দরগাহ প্রাঙ্গণের রাস্তাগুলো মুখরিত হতে থাকে মিছিলে মিছিলে।

দেশ-বিদেশের দলবেঁধে আসা ভক্তদের হাতে ছিল নানা রঙয়ের গিলাফ। আর মুখে মুখে উচ্চারণ ‘লালে লাল– বাবা শাহজালাল’!

বুধবার ভোর রাতে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ওরসের আনুষ্ঠানিকতা।

ভক্তরা জানান, হযরত শাহজালাল (রহ.) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও বিশ্ব শান্তির কামনা করছেন তারা।

জানা যায়, প্রায় সাড়ে সাতশ’ বছর আগে ৩৬০ আউলিয়াকে সাথে নিয়ে এই অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের বাণী ছড়িয়েছেন হযরত শাহজালাল (রহ.)।

দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা জানান, হযরত শাহজালালের (রহ.) টানে প্রতিবছর শত কষ্ট স্বীকার করেও হলেও ছুটে আসেন তারা। নিজেদের জীবনের সন্তুষ্টির পাশাপাশি ভক্তরা প্রার্থনা করেন দেশ ও দশের মঙ্গল।

কেবল ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাই নয় বিভিন্ন জাতি ধর্মের মানুষের পদচারণায় দরগাহ প্রাঙ্গণ যেন হয়ে উঠে সাম্প্রদায়িক মিলনমেলার তীর্থভূমি।

কয়েকদিন ধরে ভক্ত-আশেকানদের ভিড় বেড়েই চলেছে মাজার এলাকায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওরসে শরীক হতে আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই অবস্থান করছেন মাজারের আশপাশের হোটেলগুলোতে। আবার অনেকেই বাস ট্রাক নিয়ে এসেছেন, অবস্থান করছেন গাড়িতেই। ফলে সোমবার থেকেই মাজার এলাকা মুখর হয়ে উঠেছে হাজারো লোক সমাগমে।

ওরস উপলক্ষে সোমবার পর্যন্ত ভক্ত-আশেকানরা শতাধিক গরু ও খাসি এনেছেন নজরানা হিসাবে। সারাদেশ থেকে আসা ভক্ত-আশেকানদের মধ্যে শিরনি বিতরণের জন্য পশুগুলো জবাই করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত জিকির ও এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে ভক্তরা সময় অতিবাহিত করবেন।

বুধবার ভোরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী ওরস শেষ হবে। মোনাজাতের পর পরই অগণিত ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে শিরনি। ওরসকে ঘিরে মাজার প্রাঙ্গণে বসতে শুরু করেছে বাউলদের আসর। শান্তিপূর্ণভাবে বার্ষিক এই উৎসব সম্পন্ন করতে মাজার কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওরসের নিরাপত্তায় মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে ওরসে আগমনকারীদের নিরাপত্তা পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ কাজ শুরু করেছে। সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত