কুলাউড়া প্রতিনিধি

০৮ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:৫৯

মৌলভীবাজারের সব থানায় ‘ইভটিজিং প্রতিরোধ স্কোয়াড’: এসপি ফারুক

মৌলভীবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ পিপিএম (বার) বলেছেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য জেলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধে একটি বিশেষ সেল ও প্রতিটি থানায় এন্টি ইভটিজিং স্কোয়াড গঠন করা হবে।

বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে কুলাউড়া থানার আয়োজনে মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং ও গণসচেতনতাসহ আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

সভায় এসপি ফারুক আহমদ পিপিএম উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, থানা পুলিশ তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা সেটি তদারকিতে আমি জেলার প্রতিটি থানায় নিয়মিত পরিদর্শনে আসবো। কুলাউড়া থানায় আজ থেকে কোন বিচার বা শালিসী কার্যক্রম চলবে না। কুলাউড়ায় ইভটিজিং প্রতিরোধে ‘ইভটিজিং প্রতিরোধ স্কোয়াড’ গঠন করা হবে। এই স্কোয়াড প্রতিদিন মোটরসাইকেলযোগে উপজেলার বিভিন্ন কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টহল দিবে। এছাড়াও নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এবং কেউ যদি নারী নির্যাতন কিংবা ইভটিজিংয়ের শিকার হোন তাহলে যাতে পুলিশকে দ্রুত খবর পৌঁছাতে পারেন সেজন্য জেলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল গঠন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সেলে আলাদা একজন দক্ষ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে এবং একটি ফোন নাম্বার দেয়া হবে। এছাড়াও ৯৯৯ নাম্বারে যোগাযোগ করে যেকোন ঘটনা দ্রুত অভিযোগ জানাতে পারবেন সবাই এবং নারী নির্যাতনের বিষয়ে জানাতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আলাদা একটি নাম্বার রয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করতে হলে প্রথমে একটি গ্রামকে সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত করতে হবে। মাদকমুক্ত করার জন্য ‘গ্রাম থেকে একটি দেশ, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’ এই স্লোগান নিয়ে আমি আমার জেলার প্রতিটি গ্রামকে মাদকমুক্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ করা জন্য কাজ করে যাবো।’

তিনি কুলাউড়া থানার ওসিকে এসব পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের ১৬ কোটি জনগণের সেবায় পুলিশের জনবল সংকট রয়েছে। তাই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, পুলিশ কারো উপকার না করতে পারলে কারো যেন অপকার না করে। পুলিশ জনগণকে কাজে লাগাতে হবে। বাস্তবিক অর্থে জনগণ পুলিশকেও সহযোগিতা করতে হবে।

এ সময় তিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী ভাটেরা ইউনিয়নে দ্রুত একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দেন।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. আনোয়ারুল হক, পৌর মেয়র শফি আলম ইউনুছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য নবাব আলী ওয়াজেদ খান বাবু প্রমুখ।

এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবীও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত