কুলাউড়া প্রতিনিধি

১১ আগস্ট, ২০১৯ ১৮:৩২

ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করলেন বড় ভাই!

মামুনুর রশীদ মামুন

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাই রাজিবুল ইসলাম রাজুকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার বড় ভাই মামুনুর রশীদ মামুন। এমন অভিযোগ করেন তাদের মা নেকজান বেগম। 

রোববার (১১ আগস্ট) সকাল ৬ টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে তৈয়ব আলীর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।

মামুন ও রাজু একই ইউনিয়নের নুনা গ্রামের ওয়ারিছ আলীর ছেলে। নিহত রাজু উপজেলার রবিরবাজার দারুসুন্নাহ আলিম মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ছোট ছেলে হত্যার দায়ে বড় ছেলে মামুনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন বাবা ওয়ারিছ আলী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওয়ারিছ আলীর ৪ ছেলে ২ মেয়ে। বড় ছেলে মামুনুর রশীদ মামুন ওয়ারিছ আলী সাথে তাঁর বাড়িতে থাকতেন। ২ ছেলে প্রবাসে ও এক মেয়ে শশুর বাড়িতে থাকেন। তার স্ত্রী নেকজান বেগম ছোট ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজু ও ছোট মেয়েকে নিয়ে র্দীঘদিন যাবত ভাই তৈয়ব আলীর (ওয়ারিছের শ্যালকের) বাড়িতে থাকেন।

ওয়ারিছ আলীর বড় ছেলে মামুন রোববার ভোরে মামার বাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে ঘরের ভিতর বিছানায় ঘুমে থাকা ছোট ভাই রাজুকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এসময় রাজুর চিৎকার শুনে নেকজান বেগম রুমে এসে দেখেন মামুন ধারালো দা দিয়ে ছোট ছেলেকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। মাকে দেখে মামুন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার ওসি তদন্ত সঞ্জয় চক্রবর্তীসহ পুলিশ রাজুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত রাজুর এক স্বজন সিলেটটুডেকে জানান, মামুন পুরো সুস্থ। তবে সে মাদকাসক্ত। রাজুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে মামুন। পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

নিহত রাজুর বাবা ওয়ারিছ আলী সিলেটটুডেকে বলেন, মামুন দিনমজুরের কাজ করে। তার মানসিক সমস্যা রয়েছে।

কুলাউড়া থানার ওসি তদন্ত সঞ্জয় চক্রবর্তী সিলেটটুডেকে বলেন, রাজুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামুন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। তাকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযানে রয়েছে।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান সিলেটটুডেকে বলেন, এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামুন মানসিক রোগী। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যার কারণ জানা যাবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত