ছাতক প্রতিনিধি

১৭ আগস্ট, ২০১৯ ১৮:৫১

ছাতকে হত্যা মামলার আসামিদের বসতঘর ভাংচুর, মালামাল লুট

সুনামগঞ্জের ছাতকে কৃষক দুদু মিয়া হত্যা মামলার আসামিদের বসতঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার (১৪ আগস্ট) হত্যাকাণ্ড ঘটার পরপরই ভয়ে হত্যাকারী ও তার স্বজনদের বাড়ির পুরুষ লোক বসতঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।  এ খবর পেয়ে প্রতিপক্ষরা আসামিদের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় । এসময় তারা লুটপাটের পাশাপাশি নারীদের শ্লীলতাহানি ঘটায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা ।

দুদু মিয়া হত্যা মামলার আসামিদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার দিনের বেলায় প্রতিপক্ষরা হত্যা মামলার আসামি আরশ আলী, নুরুল ইসলাম, রুহুল আমিনের বাড়িতে ভাংচুর করেন। এসময় আসামির স্বজন মৃত আনসার আলীর গবাদি পশু, পানির পাম্প, পাওয়ার ট্রিলার ও বসতঘর থেকে টিভি, টিন, ৩টি ফ্রিজ, ১৬টি ফ্যান, স্বর্ণ, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, ধান-চাল, আসবাবপত্র, দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যাবতীয় মালামাল লুট করে নেয়। তাদের লুটপাট ও তাণ্ডবে গ্রামের মানুষ ভয়ে প্রতিবাদ করেনি বলে জানা যায়।

এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছলে বাঁধা দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারো দিনভর চলে আসামিদের বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন দুদু মিয়া হত্যা মামলার আসামিদের পরিবারের স্বজনরা ।

গত বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হালচাষরত অবস্থায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মৃত আলতাব আলীর পুত্র দুদু মিয়া। এসময় থানা পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোজাহিদ আলীকে (৪৮) গ্রেপ্তার করে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পুত্র খালেদ মিয়া বাদী হয়ে গ্রামের আরশ আলী, জয়নাল আবেদীন, শাহেদ মিয়া, রেহান আহমদ, রুহুল আলম, মোজাহিদ আলীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১। মামলা করার পর থেকে মোহনপুর গ্রামে বিরাজ করছে গ্রেপ্তার আতংক। পুলিশের ভয়ে গ্রামের অনেকেই আত্মগোপনে এখন ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লুটপাটের বিষয়টি শুনেছি কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে আমিরা কাউকে পাইনি। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত