হুমায়ুন কবীর, বাহুবল

১৯ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:১৩

অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে ফয়জাবাদ বধ্যভূমি

অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে হবিগঞ্জের বাহুবলের ফয়জাবাদ বধ্যভূমি। টিলা ঘেঁষা এ বধ্যভূমি রয়েছে অরক্ষিত অবস্থায়। ঝুপঝাড়ের আড়ালে পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের এই স্মৃতি স্থাপনাটি।

বধ্যভূমির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেলেও তা সংস্কারের নেই কোনো উদ্যোগ। মাঝেমাঝে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ এখানে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করলেও রক্ষণাবেক্ষণ করে না কেউ। উপরে উঠার সিড়িতে  রেলিং না থাকায় উপরে উঠতে পারেন না বয়স্করা। একমাত্র শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ছাড়া আর কোন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানও হয় না এখানে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাহুবল উপজেলার শেষ প্রান্তে ঢাকা-সিলেট ভায়া মৌলভীবাজার সড়কে আমতলী চা-বাগানে এ বধ্যভূমির অবস্থান। সড়কের মিরপুর বাজার থেকে কিছু দূর এগুলেই জ্বালানি তেল শোধনাগার। এর প্রধান ফটকের ঠিক উল্টো পাশেই এ বধ্যভূমি। আমতলী চা বাগানের ৪নং সেকশনের একটি টিলার ওপর এটি অবস্থিত। এর চারপাশেই টিলায় ঘেরা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাহুবল উপজেলা ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য বাঙালি নারী-পুরুষকে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাক হায়েনারা। দীর্ঘদিন এ স্থানটি চরম অবহেলায় পড়ে ছিল। ২০০৬ সালে সরকার এটি রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়। গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে টিলায় ওঠার জন্য নির্মাণ করা হয় একটি সিঁড়ি। উপরে হত্যাকান্ডের স্থানটিতে বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়। শুধু ঐতিহাসিক নয়, সৌন্দর্যময় এ স্থানটিতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন বেড়াতে আসেন। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে এটি রক্ষণাবেক্ষণে কারও কোনো উদ্যোগ নেই।

এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা হক বলেন, বধ্যভূমির উপরে ওঠার সিড়িতে রেলিং লাগানো, বিদ্যুত সংযোগসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজ অচীরেই করা হবে। তিনি আরও বলেন, বধ্যভূমিটিকে আকর্ষনীয় ও পর্যটকমূখর করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে আলাদা বাজেটও রাখা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত