প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, কমলগঞ্জ

২৫ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:০২

সৌদিতে দুর্ঘটনায় নিহত: ১ মাসেও মরদেহ পায়নি কমলগঞ্জের আজাদের পরিবার

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলআইন শহরে কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় এক দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের যুবক আজাদ মিয়ার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ১ মাস অতিবাহিত হলে এখনো পর্যন্ত তার মরদেহটি পরিবারের কাছে এসে পৌঁছায়নি। বর্তমানে তার মরদেহটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এদিকে আজাদ মিয়ার মরদেহটি দেশের বাড়িতে না পৌঁছায় থামছে না স্বজনদের আহাজারি।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বরে ভিজিট ভিসা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের উস্তার মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া। পরে সে দেশটির চলমান আইন অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই মাসে বিজনেস পেশার আইডি (একামা) পান আজাদ। একই মাসের সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলআইন শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগদান করেন তিনি।

পরে ২৫ জুলাই সে কর্মস্থলে থাকাবস্থায় একটি শেওল গাড়ি স্টিলের রেডিমেড ঘরে ধাক্কা দিলে ঘরটি সঙ্গে সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়ে আজাদের উপরে পড়ে যায়। এতে আজাদের মাথা ও শরীর থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার ও প্রবাসী নেতারা বলেন, বাংলাদেশি হাই কমিশনের অবহেলার কারণে আজাদের লাশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা হাসপাতাল মর্গে দীর্ঘ ১ মাস ধরে পড়ে আছে। ইউএই’র বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা আজাদের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য জোর দাবি জানালেও এগিয়ে আসেনি হাই কমিশন।

এদিকে আজাদের অসুস্থ মা রোকেয়া বেগম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনের কর্মকর্তারা আমার ছেলের লাশ নিয়ে অমানবিক আচরণ করছেন। তার বৈধ সব কাগজপত্র থাকার পরেও সরকারের নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা লাশ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।

প্রবাসী নেতারা আরও বলেন, আজাদের লাশ দেশে পাঠানোর জন্য সংযুক্ত আরত আমিরাতের জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান সাচ্চুর নেতৃত্বে একটি টিম হাই কমিশনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় অ্যাম্বাসেডর বেলাল উদ্দিন তাদের বলেন, এই প্রফেশনের শ্রমিকের লাশ সরকারি খরচে দেশে পাঠানো যাবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত