জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২২:০৬

গোলাপগঞ্জে চোর আতঙ্ক

গোলাপগঞ্জে চোর চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবহেলাকেও অনেকে দায়ী করেছেন।

জানা যায়, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের মাইজভাগ জামে মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা মসজিদের তালা ভেঙ্গে একটি উন্নত মানের ডিজিটাল দেয়াল ঘড়ি ও ৪ টি মাইক মেশিনসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মসজিদের প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

একই রাতে গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের আহমদ খান রোডের রান্নাঘর রেস্টুরেন্টে চুরি হয়। এই ঘটনায় বেশ কিছু টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে।

রেস্টুরেন্টের মালিক ইয়াজদান আহমদ চৌধুরী বলেন, রোববার রাতের কোন এক সময় এডজাস্ট ফ্যান ভেঙ্গে রেস্টুরেন্টে থাকা দুটি মোবাইল ও ক্যাশে রাখা কিছু নগদ টাকা চোরেরা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

এ ছাড়াও গত ২-৩ দিন পূর্বে আহমদ খান রোডের হাসান ষ্টোরে চোরেরা দোকানের চাল কেটে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। মাস খানেক পূর্বে আহমদ খান রোডের এইচ এম টেলিকম নামক দোকানের সাটার ও গ্রিল কেটে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা দামের অন্তত ৬০টি মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরের দল।

এর আগে গত সপ্তাহে কোনাচর বাজারের একটি দোকানের দেয়াল ভেঙ্গে মালামাল চুরি করে চোরের দল। প্রতিটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে এবং পৃথক পৃথক জিডি হয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি। কোন চুরি হওয়া কোন মালামালও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা যায়। একের পর এক চুরির ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ী ও উপজেলাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সদস্য দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে গোলাপগঞ্জ বাজারে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ-আতঙ্ক। এসব চুরির ঘটনায় পুলিশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে চোরদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। চুর চক্র চুরি সংঘটিত করতে ভয় পাবে।

তবে গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলেকুজ্জামান আলেক ব্যবসায়ীদের অসচেতনকে দায়ী করে বলেন, প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হতে হবে। বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বাজারের যে সব মার্কেটে পাহারাদার নেই, সেসব মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নিয়ে পাহারাদার রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারের মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে একাধিকার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত