কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০১:২৫

স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত: কমলগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রামবাসীর মারধর

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়মিত উত্যক্ত করার অভিযোগে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া (২৩) কে মারধর করেছে গ্রামবাসীরা। সুমন একই গ্রামের বাসিন্দা।

নিজের বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক সপ্তাহ আগে ছাত্রলীগ নেতা সুমন ও তার সহযোগীরা ছাত্রীর ভাই শওকত খানকে উপজেলা সদরে মারধর করেছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রামবাসীরা উত্যক্তকারী ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে। এ নিয়ে মাধবপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে পাল্টা হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

স্কুল ছাত্রীর ভাই শওকত খান অভিযোগ করে বলেন, তার বোন কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া ও তার সহযোগিরা উত্যক্ত করে। এজন্য তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। ফলে গত সপ্তাহে উপজেলা সদরের আতিক মেকানিকের দোকানের সামনে পেয়ে সুমন ও তার সহযোগী মঈন উদ্দীন তাকে প্রহার করে। এজন্য মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বনগাঁও গ্রামে সুমনকে ডেকে গ্রামবাসীরা তাকে (শওকতকে) প্রহার সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে সুমন গ্রামবাসীর সাথে উত্যপ্ত বাক্য বিনিময় করলে গ্রামবাসীরা তাকে মারধর করেছে। জবাবে ঘন্টা খানেক পর সুমনের সহযোগীরা তার (শওকতের) দুই আত্মীয়কে প্রহার করেছে।

শওকত আরও বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিবের সমর্থক বলে তার প্রভাবে সুমনের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে পারে না।

গ্রামবাসীর হাতে মারধর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে কয়েক দফা সুমন মিয়ার মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওযা যায়।

কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে শওকতের নেতৃত্বে গ্রামের কিছু লোক সুমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, সকালে মাধবপুরে একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছেন। তবে কেউ থানায় কোন অভিযোগও করেনি। তার পরও পুলিশ সতর্কতার সাথে বিষয়টি দেখছে বলে তিনি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত