জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০২:০৬

জগন্নাথপুরের এক ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী ৬৭ জন!

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৩নং মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থীসহ ৬৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ সব প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন।

তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর থাকলেও বিএনপির কোনো নেতাকর্মী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে চেয়ারম্যান পদে ৭, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পদে ১৩ ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ জন প্রার্থী নির্বাচন অফিসে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবদুল কাদির ও জাতীয় পার্টি মনোনীত আব্বাছ মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহবুবুল হক শেরিন, সাহাব আলী, আতিকুর রহমান, শওকত আহমদ ও আতাউর রহমান মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ড থেকে নারী সদস্য পদে বর্তমান সদস্য আকজান বিবি, রাবিয়া বেগম, হাসনা হেনা ও রাহেলা আক্তার। ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড থেকে সরিফুল বেগম, সুন্দর মালা, নাজমিন আক্তার মিনা ও মোহন মালা। ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড থেকে পারুল রানী পাল, মারুফা খানম, ফুল বেগম, ফিরোজা বেগম ও হাওয়ারুন্নেছা।

ইউপি সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন: ১নং ওয়ার্ড থেকে শফিক আলী, লিটন আহমদ, ছইল মিয়া সুহেল, আবদুল আহাদ, খলিল উদ্দিন, হাবিব খান, জাবেদ খান ও সাজর আলী।

২নং ওয়ার্ড থেকে কমর উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, মাহবুব হোসেন ও সেলিম হোসেন।

৩নং ওয়ার্ড থেকে হোসেন রাসেল, আওলাদ আলী ও মাহমুদ মিয়া।

৪নং ওয়ার্ড থেকে বর্তমান সদস্য রফা মিয়া, হাফিজুর রহমান খালেদ, রুহেল মিয়া, আসাদুজ্জামান আনছার, হোসেন মিয়া ও আশিকুর রহমান।

৫নং ওয়ার্ড থেকে সাহেদ মিয়া, আজির উদ্দিন খান ও আবদুস শহীদ।

৬নং ওয়ার্ড থেকে মুজাম্মিল খান, নজির আলী ও ইমরান হোসেন।

৭নং ওয়ার্ড থেকে আনোয়ার আলী, আবদুল ওয়াহাব, আবদুল কদ্দুছ, হান্নান মিয়া, সেবুল আহমদ, রফিক উদ্দিন ও মাহমুদ আলী।

৮নং ওয়ার্ড থেকে ফয়জুর রহমান, আবুল হোসেন, আবদুল জলিল, ফরহাদ আহমদ, মোস্তাক আহমদ, ফয়জুল হক ও আলী হোসেন।

৯নং ওয়ার্ড থেকে নেওয়ার হোসেন, মইনুল গণি, নানু মিয়া, বদরুল গণি, সাজাদ খান ও মোস্তফা মিয়া।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুজিবুর রহমান বলেন, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই, ২২ সেপ্টেম্বর প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ এবং ১৪ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তবে নির্বাচনে আ.লীগ ও জাপা অংশ গ্রহণ করলেও বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকার বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশে কোনো প্রার্থী অংশগ্রহণ করেননি।

মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থী, ভোটার ও জনতার মধ্যে আলাদা উৎসব বিরাজ করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত