বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২২:১৯

বিশ্বনাথে জাল রশিদে কর আদায়

সিলেটের বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের রশিদ জাল করে কর আদায় করতে গিয়ে মোস্তাক আহমদ নামের এক মাঠকর্মী ধরা পড়েছেন। রোববার দুপুরে উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তি জানাইয়া মাঝপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ নতুনবাজার বণিক কল্যান সমিতির সভাপতি শামিম আহমদ ওই মাঠকর্মীকে আটক করেন।

এসময় মাঠকর্মী আটকের খবর পেয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিজিৎ চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মাঠকর্মী মোস্তাককে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন জানাইয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক কল্যাণ সিমিতর সভাপতি শামীম আহমদ।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, নকল রশিদ দিয়ে টাকা আদায় করার সময় তিনি মোস্তাক আহমদ নামের এক মাঠকর্মীকে আটক করেন। এসময় কর আদায়কারীর কাছে একই নব্বরের দুটি রশিদও পান। পরবর্তিতে ওই মাঠকর্মীকে উপজেলা নর্বিাহী কর্মকর্তার নিকট নিয়ে যেতে চাইলে বিশ্বনাথ ইউনয়িন পরিষদের সচিব বিজিৎ চন্দ্র সরকার তার নিজ জিম্মায় ওই মাঠকর্মীকে নিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।

ইউয়িন পরিষদের সচিব বিজিৎ চন্দ্র সরকারও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, নকল ও আসল পৃথক দুটি রশিদ শামীম আহমদের কাছে রয়েছে।

জানা গেছে, সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় প্রত্যেকটি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রশিদের মাধ্যমে কর আদায় করার কথা। তবে, কর আদায় করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটি নকল রশিদেও মাধ্যমে। আর নকল ওই রশিদের মাধ্যমে আদায় করা টাকা না পাচ্ছে  ইউনিয়ন পরিষদ, আর না পাচ্ছেন চুক্তিভিত্তিক সংস্থার কর্মকর্তারা। জাল রশিদ দিয়ে জালিয়াতি করে ওই টাকাটা হাতিয়ে নিচ্ছেন কর আদায়কারী ও মাঠকর্মী মোস্তাক। আর রোববার জানাইয়া গ্রামের শামীম আহমদের বাড়িতে কর আদায় করতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। এসময় ৩৪৭ নাম্বারে দুটি রশিদের মধ্যে গম দিয়ে লাগানো নকল একটি রশিদসহ আটক করা হয় তাকে।

তবে, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেছেন, চুক্তিনামার মাধ্যমে প্রতিবছর একটি সংস্থার মাধ্যমে তারা কর আদায় করে থাকেন। এবছরও চুক্তির মাধ্যমে কর আদায় করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে না বসে রশিদ আসল না নকল তা তিনি বলতে পারছেন না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত