নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:৪২

সিলেটে কমেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

ঢাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করা ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছিলো সিলেটেও। গত জুলাই-আগস্টের দিকে সিলেটে বাড়তে থাকে ডেঙ্গুর প্রকোপ। তবে আশার কথা, চলতি মাসে এসে তা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। কত কয়েকদিনে কমেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৪ জন। এরমধ্যে ৩ জন সরকারি হাসপাতালে ও ১ জন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে মাত্র ৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এই ৪ জন রোগীই সিলেট জেলার।

সিলেট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলায় গত ১৫ দিনে সরকারী হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। এদের মধ্যে সরকারী হাসপাতালে ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। ১২ জন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন। বেসরকারি হাসপাতালে ৫ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২ জন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন।

সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. দেবপদ রায় বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিভাগে মাত্র ৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ থেকে বুঝা যায় সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু কমতে শুরু করেছে।

শুধুমাত্র জনসচেতনতার জন্য সিলেটে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ সারাদেশে বেড়ে যায় তখনই আমরা জনসাধারণকে সচেতন হতে আহবান জানিয়েছি। জনগণও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। যার ফলে সিলেটে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করতে পারেনি।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা সাধ্যমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনও জেলা ভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছে। এখনো মাঝে মাঝে দেখি কেউ না কেউ পরিচ্ছন্নতা অভিযান করছেন। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে অভ্যাসে পরিণীত করতে পারলে এডিস মশা কখনোই বংশ বিস্তার করতে পারবে না।

এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, সিলেটে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে। জনসচেতনতার কারণে সিলেটে ডেঙ্গু রোগ ছড়াতে পারেনি। আশা করছি দিন দিন রোগীর সংখ্যা আরও কমবে। যারা চিকিৎসাধীন আছেন তারাও শিগ্রই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। তবে অবশ্যই সবাইকে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এবং সব সময় এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত