জকিগঞ্জ প্রতিনিধি

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৮:৫৯

৯ মাস ধরে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রায় নয় মাস ধরে জকিগঞ্জে স্থল শুল্ক স্টেশন বন্ধ রয়েছে আমদানি-রফতানি। গত জানুয়ারি মাস থেকে এ শুল্ক স্টেশনে আমদানী-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে স্টেশনটি। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন  শতাধিক শ্রমিক। আর মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

১৯৪৭ সালে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনটির কার্যক্রম শুরু হয়। সাত দশকের পুরনো এ স্টেশন দিয়ে কমলা, মুলিবাঁশ, টমেটো, পান, আদা, সাতকরা, আঙ্গুর, আপেল, চিটাগুড়, মশারী, সুুঁটকি, আলু, মরিচসহ অন্যান্য কাচামাল আমদানী-রপ্তানি হয়ে আসছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সবধরনের পণ্য আমদানী-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

এ স্টেশন থেকে সরকার প্রতি বছর গড়ে ৩০-৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতো। কিন্তু চলতি বছর এ পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাস্টম ঘাটটি জনমানবশূন্য। এ স্টেশনে দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন পর্যটক আসা-যাওয়া ছাড়া মানুষের তেমন আনাগোনা নেই । কর্মকর্তারা অলসভাবে সময় কাটাচ্ছেন।
 
শ্রমিক নজরুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান আব্দুর রাজ্জাক, আবুল হোসেন জানান, মালামাল আমদানী-রপ্তানি না হওয়ায় আমরা এখন বেকার এবং খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছি। আশায় আশায় বসে আছি কিন্তু কখন যে কাজ শুরু হবে তা জানি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, খরচ বেশি হওয়ার কারণ দেখিয়ে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, শুল্ক স্টেশন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণেই এ স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাথে কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেও এর কোনো সমাধান হয়নি। সামনে আপেল, সাতকরা, কমলার-মাল্টার মৌসুম। ফল আমদানির মৌসুমে স্টেশনটি বন্ধ থাকলে রাজস্ব হারাবে সরকার।
 
আমদানিকারক মঞ্জুর আহমদ বলেন, এ মৌসুমে মূলত ভারত থেকে আদা আমদানী করা হয়। আদার দাম বাংলাদেশ থেকে ভারতে বেশি। তাই ব্যবসায়ীরা আদা আনছেন না। শীতকালীন ফলের মৌসুম শুরু হলে আমদানী বাড়বে।
 
জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শিপন কুমার দাস জানান, আইনী কোনো জটিলতা নেই। ব্যবসায়ীরা আসছেন না তাই গত জানুয়ারি মাস থেকে এ স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। সীমান্ত খোলা রয়েছে স্টেশনের অফিসও খোলা আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত