নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:৫৩

কারা আসছেন সিলেট চেম্বারের নেতৃত্বে

আজ ভোটগ্রহণ

সিলেট চেম্বার অব কমার্সের বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন আজ (শনিবার)। মামলা জটিলতা, উচ্ আদালতের নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসায়ীদের মদ্যে দ্বন্দ্বসহ নানা বাধা পেরিয়ে অবশেষে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেটের ব্যবসায়ীদের এ শীর্ষ সংগঠনটির নির্বাচন।

ইতমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচনী বোর্ড। আজ সকাল থেকে দিনভর নগরীর ধোপাদিঘির পাড় এলাকার ইউনাইটেড কমিউনিটি সেন্টারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা শেষে রাতেই ঘোষণা করা হবে ফলাফল।

এবারের নির্বাচনে ২১টি পরিচালক পদে প্রার্থী আছেন ৪০ জন। এদের মধ্যে টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণীতে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় একমাত্র প্রার্থী শমশের জামালকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’ ও ‘সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ’ এই দুই ব্যানারে প্রার্থীরা তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রাচরণায় নামেন। ইশতেহার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ করেন তারা।

আজ ভোটাররা খুঁজে নেবেন চেম্বারের আগামী দিনের নেতৃত্ব। কারা আসছেন সিলেট চেম্বারের নেতৃত্বে সেদিকে আজ চোখ থাকবে সবার।

সিলেট চেম্বারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২হাজার ৪৬৫ জন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, এবারের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ২২টি পরিচালক পদে প্রার্থী ছিলেন ৪১ জন। তন্মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণিতে ২৪ জন, এসোসিয়েট শ্রেণিতে ১০ জন, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে ৬ জন এবং টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে একজন প্রার্থী রয়েছেন। টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে শমসের জামাল একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় এ পদে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। তাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। বাকি ৪০ প্রার্থী ২১টি পরিচালক পদের জন্য আজ নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচনে এবার অর্ডিনারি শ্রেণিতে ১৪১৩ জন, এসোসিয়েট শ্রেণিতে ১০৪০ জন, ট্রেড গ্রুপে ১১ জন ও টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে একজন প্রার্থী রয়েছেন।

অর্ডিনারি শ্রেণিতে দুই প্যানেলের ১২ জন করে প্রার্থী আছেন। এছাড়া এসোসিয়েট শ্রেণিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ৬ জন ও সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের ৪ জন প্রার্থী, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে উভয় প্যানেলের ৩ জন করে ৬ জন প্রার্থী লড়ছেন। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃত্বে আছেন এহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদে আবু তাহের মোহাম্মদ শোয়েব।

গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ দুটি প্যানেল নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে এসেছে। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ‘পরিবারতন্ত্র’ থেকে সিলেট চেম্বারকে মুক্ত করার বিষয়টি সামনে রেখে প্রচারণা চালিয়েছে, অন্যদিকে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ সিলেটকে ব্যবসাবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা ও ব্যবসায়ীদের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রচারণা চালায়।

সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শতভাগ স্বচ্ছ ভোটার তালিকা দিয়েই ভোট গ্রহণ হবে।’

সিলেট চেম্বারের প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

নির্বাচনে প্রার্থী যারা-

অর্ডিনারি শ্রেণীর প্রার্থীরা হলেন- এহতেশামুল হক চৌধুরী, মো. সাহিদুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মুশফিক জায়গীরদার, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), খন্দকার ইসরার আহমদ রকি, মো. শফিকুল ইসলাম, শান্ত দেব, মো. আব্দুস সামাদ, খলিলুর রহমান চৌধুরী, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, আলীমুল এহছান চৌধুরী, আবু তাহের মো. শোয়েব, মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, হুমায়ুন আহমদ, মো. ফারুক আহমদ, মো. নজরুল ইসলাম, জুবায়ের রকিব চৌধুরী, আক্তার হোসেন খান, আব্দুল হাদী পাবেল, শহিদ আহমদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ আব্দুস সালাম।

এসোসিয়েট শ্রেণীর প্রার্থীরা হলেন- মাসুদ আহমদ চৌধুরী (মাকুম), মো. এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, আব্দুর রহমান, চন্দন সাহা, মো. আতিক হোসেন, ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আবুল কালাম ও মনোরঞ্জন চক্রবর্তী সবুজ।

ট্রেড গ্রুপ শ্রেণীর প্রার্থীরা হলেন- মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মসফিক), মো. নুরুল ইসলাম, তাহমিন আহমদ, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির ও ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন গত ২৭ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল ২৭ এপ্রিল। ভোটার তালিকায় গলদ, মামলা জটিলতায় প্রায় ৫ মাস পর এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত