নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ অক্টোবর, ২০১৯ ১৮:২০

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। মঙ্গলবার বিকেলে থেকে সিলেট নগরীর ঐতিত্যবাহী চাঁদনীঘাটে শুরু হয় বিসর্জন অনুষ্ঠান। নগরীর বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে মুর্তি চাঁদনীঘাটে নিয়ে এসে সুরমা নদীতে বিসর্জন করা হয়।

প্রতিমা বিসর্জন দেখতে চাঁদনীঘাটে সুরমা তীরে দুপুর থেকেই ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা। এই এলাকাকে ঘিরে নানা পণ্যের মেলাও বসেছে। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া প্রতিমা বিসর্জন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ বিসর্জন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সুবোধ মঞ্চ থেকে প্রতিমা বিসর্জন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এর আগে দশমীর সকাল থেকে মণ্ডপ মণ্ডপে বাজতে শুরু করে বিষাদের সুর। চারদিনের উৎসবের শেষে পুজোর পঞ্চম দিনে এসে শুরু হয় বিদায়ের আয়োজন। হিন্দু পুরনা মতে, বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দুর্গা।

প্রতিমা বিসর্জন উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সাথে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান।

পূজার নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ, আনসার, ডিবি সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। অগ্নি নির্বাপনের জন্য সেখানে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। এছাড়া এবার চাঁদনীঘাট এলাকায় প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে সিসিটিভি দারা মনিটর করা হচ্ছে।

সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদর সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত জানান, এবার সিলেটে ৬০৮টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিলেট নগরীতে এবার ৬৬টি মন্ডপে পূজা র আয়োজন করা হয়। তন্মধ্যে ৫১টি মন্ডপ সর্বজনীন, ১৫টি পারিবারিক।

সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় মন্ডপ ৫৪২টি। তন্মধ্যে সর্বজনীন ৫০৩টি, পারিবারিক ৩৯টি। গেল বছর সিলেটে ৫৯৮টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হয়। এ হিসেবে এবার মন্ডপে বেড়েছে ১০টি।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত