হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

২১ অক্টোবর, ২০১৯ ১৮:৩৪

হবিগঞ্জ সীমান্তে সর্তকতায় বিজিবি, কমেছে না চোরাচালান

প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ ও ভারতের আন্তঃ সীমান্ত এলাকা বিজিবির সর্ব্বোচ সর্তক অবস্থায় থাকার পরও চোরাচালান একবারে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কঠোর অবস্থানের কারণে চোরাচালান কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তারপরও প্রতিটি সীমান্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায়  আত্মগোপনে থেকে চোরাচালান ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের আন্তঃ সীমান্ত এলাকা। এসব সীমান্ত এলাকা একসময় চোরাকারবারিদের দখলে ছিল। তারা ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক, মদ ও বিয়ার, নিম্নমানের চা পাতা, গাড়ির টায়ার, গরম মসলাসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসত। আর পাচার করত চীনা রসুন, বুট, ছোলা, ডাল ও ইলিশ মাছ। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কঠোর অবস্থানের কারণে চোরাচালান কারবার কিছুটা কমেছে বলে জানান স্থানীয়রা ।

বিজিবি ৫৫ শ্রীমঙ্গল সেক্টর সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মাসে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ  ৫৮ হাজার ৮৪৫টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানকারীরা মালামালসহ ৩০জন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ভারতীয় মদ ২ হাজার বোতল, গাঁজা ১২শত কেজি, ইয়াবা ১৫শথ পিছ,ফেন্সিডিল, ১ হাজার বোতল, বিয়ার ৩শত বোতল, চা পাতা ১৫শত কেজি, ভারতীয় চশমা ২হাজার ৩শত ৫০পিছ, মোটর সাইকেল ০৬ টি,বাই সাইকেল- ১৪টি, বাংলাদেশী রসুন ৪শত কেজি।

আহমদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সঞ্জু বলেন, ‘সীমান্ত এলাকা দিয়ে সব সময়ই চোরাচালান হয়ে আসছে যদি এখন অনেকটাই কমে গেছে। প্রশাসনের সঙ্গে আমরাও চেষ্টা করি অবৈধ মালামাল আটকাতে। কিন্তু দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় চোরাকারবারিদের একবারে দমানো যাচ্ছে না।’

বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের বাল্লা সীমান্ত ফাঁড়ির প্রধান সুবেদার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সব ধরনের চোরাচালান রোধে সীমান্তে নিয়মিত টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন মালামালও জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে আমরা বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আরও বেশি জনবল থাকলে চোরাচালান রোধ করা সহজ হতো।’

এ ব্যাপারে বিজিবি ৫৫ শ্রীমঙ্গল সেক্টরের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম জাহিদুর রশীদ (পিএসসি) বলেন, ‘হবিগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকায় ১৩টি ক্যাম্পে দেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই বিজিবি সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি শিশু ,নারী ও মাদক পাচার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু জেলার সীমান্ত এলাকা বেশীরভাগই দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় মাদক ব্যবসা একেবারে বন্ধ করা যাচ্ছে না। মাদক ব্যবসায়ীরা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আত্মগোপনে থেকেও ব্যবসা করে যাচ্ছে। তবে এসব মাদকের বেশীর ভাগই বিজিবির হাতে আটক হচ্ছে।’


আপনার মন্তব্য

আলোচিত