কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১৭:২১

কমলগঞ্জে টিলা ধ্বসে নারী নিহত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা গ্রামে একটি টিলার মাটি ধ্বসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় টিলার কাটা অংশের মাটি ধ্বসে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক নারীর মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্যক্তি মালিকানাধীন ওই টিলা ঘেঁষে ঘর তোলা হয়। ঘরের সামনে কেটে ফেলা টিলার পাশে শিশুরা খেলাধুলা করছিল। শিশুদের সরিয়ে আনার সময় টিলার কাটা অংশের মাটি ধ্বসে পড়ে আমেনা বেগম (৫৫) গুরুতর আহত হন। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত আমেনা বেগম বাদে উবাহাটা গ্রামের কৃষক মাসুক মিয়ার স্ত্রী। তাদের ৬ সন্তান রয়েছে।

মাসুক মিয়া বলেন, টিলার কাটা অংশের মাটি ধ্বসে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে কারো কোনো দোষ নেই। আমার স্ত্রী মারা যাওয়ায় সন্তানরা অসহায় হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাদে উবাহাটা গ্রামের একটি টিলা কেটে একটি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। কেটে ফেলা টিলার উপরে পাকা দেয়ালে ঘরের কাজ চলছে। ঘরের আশপাশ এলাকায় টিলা কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। মোহাম্মদ আলী ও শাহিন মিয়া নামে দুই ব্যক্তি ঘর তৈরি করছেন। তবে ব্যক্তিগত টিলা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে টিলা কাটা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।



স্থানীয়রা জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি টিলা অধ্যুষিত দুর্গম এলাকায় অসংখ্য স্থানে অবৈধভাবে টিলা কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ-প্রতিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। টিলা কাটার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।

কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, তাদের ব্যক্তিগত টিলার কাটা অংশের মাটি ধ্বসে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ব্যাপারে কারো কোনো অভিযোগ নেই।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান কেটে ফেলা টিলার মাটি ধ্বসে নারীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর শুনে একজন এসআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে টিলা আগেই কাটা ছিল। কিছু মাটি ধ্বসে নারী আহত হন ও পরে মারা যান। এ ব্যাপারে কারো কোনো অভিযোগ নেই।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সরেজমিন তদন্তে পাঠানো হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত