নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:৪৬

সিলেট চোরাই পথে আসা ২৭৯ টি ভারতীয় এন্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার, আটক ৪

সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ২৭৯ টি এন্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।  এ ঘটনায় জড়িত নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজনকে আটক করা হয়ে। একই অভিযানে দুটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা স্বাক্ষরিত ও গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় এসএমপি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) সিলেটের শহরতলী তেমুখী বাইপাস এলাকা থেকে নাম্বার বিহীন একটি প্রাইভেট কার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএমপির জালালাবাদ থানার পুলিশের পেট্রোল পার্টি। পরে তল্লাশি করে গাড়ীটিতে কিছু না পেয়ে এবং গাড়ীটি কোন দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ায় জালালাবাদ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে গাড়িটি সম্পর্কে জানতে ও মালিককে খুঁজে বের করতে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ।

অনুসন্ধানে তারা জানতে পারেন, নগরীর সাগরদিঘীর পাড়স্থ ফিজা ফ্যাক্টরির সামনে দুষ্কৃতিকারীরা ফেলে রেখে চলে গেলে স্থানীয় লোকজনদের বুঝতে দেয়ার আগেই মোটরসাইকেল যোগে একজন ও আরও ৩/৪ জন সেখানে এসে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে এলাকার বাজার কমিটিকে জানিয়ে গাড়িটি তেমুখী বাইপাস সড়কের কাছে নিয়ে গিয়ে রাস্তার পাশে  দাঁড় করিয়ে গাড়ীর পিছনের অংশের খালি জায়গায় থাকা কিছু অবৈধ মালামাল বের করে এনে অন্য একটি প্রাইভেট কারে করে নিয়ে যায় এবং তেমুখী বাইপাস এলাকা থেকে নাম্বার বিহীন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রাইভেট কারটি রাস্তার পাশেই ফেলে রেখে সিলেট শহরের দিকে চলে যায়।

অনুসন্ধানে তারা আরও জানতে পারেন, তেমুখী বাইপাস এলাকা থেকে নাম্বার বিহীন যে প্রাইভেট কারটি পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সেটির পিছনে করে ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাই পথে অবৈধ ভাবে আসা বিভিন্ন কোম্পানির এন্ড্রয়েড মোবাইল ছিল। চোরাকারবারিরা যখন মোবাইল সেটগুলো যখন এয়ারপোর্ট রোডের বাইপাস এলাকা থেকে নিয়ে শহরের দিকে আসতে শুরু করে, তখন তাদের পিছনে পিছনে অপরিচিত কয়েকজনকে মোটরসাইকেল যোগে আসতে দেখে। পরে তারা ভাবে যে পুলিশ হয়তো তাদের পিছু নিয়েছে। পরে তারা গাড়িটি দ্রুততার সাথে চালিয়ে নিয়ে এসে নগরীর সাগরদিঘীর পাড়স্থ ফিজা ফ্যাক্টরির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে মোটরসাইকেল যোগে একজন ও আরও ৩/৪ জন সেখানে এসে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে এলাকার বাজার কমিটিকে জানিয়ে গাড়িটি তেমুখী বাইপাস সড়কের কাছে নিয়ে গিয়ে রাস্তার পাশে  দাঁড় করিয়ে গাড়ীর পিছনের অংশের খালি জায়গায় থাকা কিছু অবৈধ মালামাল বের করে এনে অন্য একটি প্রাইভেট কারে করে নিয়ে যায় এবং তেমুখী বাইপাস এলাকা থেকে নাম্বার বিহীন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রাইভেট কারটি রাস্তার পাশেই ফেলে রেখে সিলেট শহরের দিকে চলে যায়।

পরে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) শেখ আজবাহার আলী (পিপিএম)  এর নেতৃত্বে গত রোববার (১৭ নভেম্বর) ও গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে ২৭৯ টি এন্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার ও চারজনকে আটক করে পুলিশ। একইসাথে এ ঘটনায়  দুটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, নগরীর পশ্চিম শাহী ঈদগাহ এলাকার মোশারফ হোসেন খান (৩৮),  নগরীর দক্ষিণ সুরমার কায়স্তরাইল এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৪), নগরীর কাজীটুলার মক্তবগলি এলাকার ফারুক মিয়া (৩৬) ও  জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৩৯)।

সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) জানায়, এ চারজনকে আটকের পর তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত ভারতে ব্যবহৃত বিভিন্ন কোম্পানির ২৭৯ টি  চোরাইকৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।  যার আনুমানিক মূল্য ৪১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত ২টি প্রাইভেট কার ও ১টি মোটরসাইকেলের যার আনুমানিক মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫-বি এবং দ্রুত বিচার আইনে পৃথক ২টি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় এসএমপি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত