সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:১৫

সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নেই

সেতুর দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার, নির্মাণ ব্যয় ৩ কোটি টাকা প্রায়, নির্মাণ কাজও শেষ, তবে এখনও নির্মাণ হয়নি এর সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়ক না থাকায় অনেক দূর ঘুরে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে সুনামগঞ্জের তিনটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।

কানলার হাওর। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়ন ও দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী ২২ কিলোমিটারজুড়ে এই হাওরের অবস্থান। সিংগিদাইর খাল এ হাওরের মধ্যেই অবস্থিত। কানলার হাওরের ওপর আগেই নির্মাণ করা হয় প্রায় ১৯ কিলোমিটার সড়ক। দোয়ারাবাজার উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের জেলা সদরে যাতায়াতের জন্যে নির্মিত হয় এই সেতু। তবে সেতুন নির্মাণের চার বছরেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় সেতুটি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতু নির্মাণের পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে ছোট আইল দিয়ে হেঁটে সেতুটি পার হতে হয় তাদের। সড়কটি হাওরপাড়ে থাকায় কোনো জনপ্রতিনিধি এদিকে আসেন না। তারা শুধু নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে আসেন। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর দেখা যায় না। অথচ এ রাস্তা দিয়ে ওই অঞ্চলের দেড় লক্ষাধিক মানুষ সহজেই জেলা সদরে যেতে পারে।

স্থানীয় লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল হক বলেন, সড়কের ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, এলজিইডির আওতায় দ্রুত এ সড়কের কাজ শেষ করা হবে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আধারবাজার থেকে চকবাজার যাওয়ার পথে কানলার হাওরপাড়ে ৯০ মিটার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ‘মেসার্স নুরুল ইসলাম’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় দুই বছর পর ২০১৫ সালে নির্মাণকাজ শেষ করে তারা।

দোয়ারাবাজার উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী হরজিৎ সরকার বলেন, ‘সিংগিদাইর সেতুর দুই পাশে যে কাঁচা রাস্তা ছিল, তার প্রায় ১৯ কিলোমিটার অংশ পাকা করা হয়েছে। বাকি যে তিন-চার কিলোমিটার রাস্তা আছে, তার কাজও অনুমোদন পেলে সম্পন্ন করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত