হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:১৯

৫ বছরে এক হাজার গাড়ি চুরি, ‘গ্যাং লিডার’সহ গ্রেপ্তার ৫

গাড়ি চুরির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। এদের মধ্যে আবু তালিবে নামে একজন চোর চক্রের 'গ্যাং লিডার'  বলে দাবি পুলিশের। চোরাই গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়ার ফাঁদ পেতে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের পাইকপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে পাঁচটি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তারা।

গত ১০ বছরে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাসহ এক হাজারের বেশি গাড়ি চুরি করেছেন বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তারা। তাদের গ্যাংয়ে দেশজুড়ে পাঁচ শতাধিক সদস্য রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আন্দাইরগাঁওয়ের জালাল উদ্দিন, তাহিরপুরের গাগড়ার হেলাল মিয়া, সিলেটের ওসমানী নগরের কাফতিয়রের আলতাফ ও মৌলভীবাজারের কনকপুরের হুমায়ুন আহমেদ।

সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম ও সদর থানা পুলিশের ওসি মো. মাসুক আলী উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, চোরদের এই গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গাড়ি চুরি করে আসছেন। তারা আবার মালিককে টাকার বিনিময়ে গাড়ি ফেরতও দেন। চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আবু তালেব দেশব্যাপী চোরদের এই গ্যাং গড়ে তুলেছেন।

তিনি বলেন, তাদের এই গ্যাংয়ে পাঁচ শতাধিক সদস্য রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি গাড়ি চুরি করেছেন তারা। প্রথমদিকে তারা প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল চুরি করলেও পরবর্তীতে শুধু সিএনজি চুরি শুরু করেন। এসব গাড়ি তারা আবার টাকার বিনিময়ে মালিককে ফেরত দেন। অনেকটা মুক্তিপণের মতো।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা আরও বলেন, এ অবস্থায় হবিগঞ্জ পুলিশ কঠোর উদ্যোগ নেয়। একটি গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য তাদের এক লাখ টাকা দেয়া হয়। পুলিশের ফাঁদে প্রথমে পা দেন গ্যাং লিডার আবু তালিব। বৃহস্পতিবার ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে চার সহযোগীসহ গ্যাং লিডার আবু তালিবকে গ্রেফতার করা হয়।

তার কাছ থেকে পাঁচটি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই জুয়েল সরকার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। আবু তালিবের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। বিকেলে গ্রেফতারকৃতরা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত